Lok Sabha Polls: ‘মমতার খাচ্ছ আর মমতাকেই দেখছ না’, বলেই ছুরি চালিয়ে দিল মহিলার গালে
LokSabha Polls:: ঘটনার খবর পেয়ে যখন নিশীথ প্রামাণিক ঘটনাস্থলে যান, তখন স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর কাছে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা বলেন, সকাল থেকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের লোকজন গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নিশীথ প্রামাণিক।
কোচবিহার: বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় মহিলাদের মারধরের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল নাটাবাড়িতে। স্বামী বিজেপি করায় এক মহিলার গালে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ। লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা নেওয়ার পরও কেন এলাকার মহিলারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, সে কারণেই হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলারা বুথের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। শুক্রবার প্রথম দফার ভোটে নাটাবাড়ি বিধানসভার ডওয়াগুঁড়ি এলাকার বুথে উত্তেজনা ছড়ায়।
ঘটনার খবর পেয়ে যখন নিশীথ প্রামাণিক ঘটনাস্থলে যান, তখন স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর কাছে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা বলেন, সকাল থেকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের লোকজন গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নিশীথ প্রামাণিক।
অভিযোগকারী এক মহিলা বলেন, “আমার স্বামী বিজেপি করে। এখানে ঝামেলা হয়েছে শুনে আসি। দেখেই আমাকে তৃণমূলের লোকেরা বলছে ‘মমতার খাচ্ছ আর মমতাকেই দেখছ না’। এরপর আমাকে চাকু দিয়ে মেরে গাল কেটে দিয়েছে। এখানে কোনও পুলিশ নেই।”
অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে উপস্থিত রয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের ১০০টা লোক এলে কী করতে পারবে চারজন কেন্দ্রীয় বাহিনী? এখানে একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন। তিনি তৃণমূলের লোকজনকেই মদত দিয়েছেন বলে এখানে এসে অভিযোগ পেলাম।” যদিও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী বলেন, তাঁদের কাজ লাইন দেখা। সেটাই দেখছেন। ভিতরে ঢোকার তাঁর কোনও অধিকার নেই। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের শশী পাঁজা বলেন, “নাটাবাড়ির ঘটনা ঠিক হয়নি। তৃণমূল এমন কাজ করে না। স্থানীয় বিষয় এটা। অনেক সময় প্রাপকরা অন্য প্রাপকদের বলে রাজ্যের সুবিধা নিয়ে কেন বিজেপিকে দিচ্ছ? তৃণমূলের এমন কিছু করার প্রয়োজন পড়ে না।”