কোচবিহার: উত্তরেই নজর, শিলিগুড়ির পর এবার কোচবিহারে মোদী, ঘাঁটি গেড়ে আছেন মমতাও। চলতি সপ্তাহেই উত্তরের আরো দুই জেলায় মোদীর সফর। গোটা দেশেই ভোট। তবুও বাংলায় বাড়তি সময় দিচ্ছেন মোদী। গত মার্চে চারবার এসে গিয়েছেন। আর এপ্রিলের শুরুতেই এবার কোচবিহার। সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ এপ্রিল ফের বালুরঘাট ও জলপাইগুড়ি আসবেন তিনি।
কম যান না শাসক নেত্রী মমতাও। ময়নাগুড়িতে সাইক্লোন সামাল দিতে সেই যে এসে ঘাঁটি গেড়েছেন, আর ফেরেননি তিনিও। এদিন কোচবিহারে মোদীর সভার ঠিক আগে মমতাও পৌঁছে যাবেন কোচবিহারের মাথাভাঙায়। যুযুধান দুই শীর্ষনেতা একই দিনে থাকছেন একই জেলায়। কিন্তু কেন? বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ নিজেদের হাতে থাকা উত্তরের আসন ধরে রেখে রাজ্যে বাড়তি আসন ছিনিয়ে নেওয়া। উত্তরে আগেই ফুটেছে পদ্ম। লক্ষ্য এবার সেই আসন ধরে রেখে দক্ষিণে নতুন ঘর তৈরি। তাই বারবার হিসাব কষেই মোদীর আগমন হচ্ছে বাংলায়, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
অন্যদিকে মমতা চাইছেন, বিজেপির গড়েই বিজেপিকে দুর্বল করতে। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জয়ের পর তাই ভোটের আগে উত্তরেই মাটি কামড়ে পরে আছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বারবার এসেছেন উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্তে। করেছেন সভা। এদিন কোচবিহারে মোদীর সভার পাল্টা দিতে দু’টি সভা করছেন মমতা। মাথাভাঙা ও মালবাজারে দুই সভার প্রস্তুতিই বিগত কয়েকদিন ধরে জোরকদমে করছিলেন দলের কর্মীরা। তবে ভোটের হানাহানিতে তপ্ত কোচবিহারে দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রীর আগমণকে সামনে রেখে কোনও প্রকার ঝামেলা, গণ্ডগোল রুখতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন। এদিকে ১৯ এপ্রিল ভোট রয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। ২৬ এপ্রিল ভোট রয়েছে দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাটে। ৭ মে ভোট রয়েছে মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণে। এখন দেখার ভোট মুখী উত্তরে গিয়ে কী বার্তা দেন মোদী-মমতা।