Trinamool Congress: ভোটের মুখে ফের তৃণমূলের পথের কাঁটা গোষ্ঠী কোন্দল?

Rupak Sarkar | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 21, 2024 | 9:15 PM

Trinamool Congress: তৃণমূলের ঘোষণা অনুযায়ী নতুন কমিটিতে গঙ্গারামপুর ব্লকের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত সভাপতি ও চেয়ারম্যান পরিবর্তন করে নতুন সভাপতি ও নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে। সব থেকে বেশি পরিবর্তন গঙ্গারামপুর ব্লকে।

Trinamool Congress: ভোটের মুখে ফের তৃণমূলের পথের কাঁটা গোষ্ঠী কোন্দল?
অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের?
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

বালুরঘাট: অভিষেকের সভার ২৪ ঘন্টার মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ব্লক, অঞ্চল এবং টাউন কমিটিতে রদবদল। তা নিয়েই চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহলে। এছাড়াও নতুন নির্বাচনী কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটি ঘোষণা হতে না হতেই শোনা যাচ্ছে গোষ্ঠী কোন্দলের কথা। নতুন ঘোষিত কমিটিতে সই বা সীল নেই তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তোরাফ হোসেন মণ্ডলের। অথচ সেই কমিটিতে সই ও সীল রয়েছে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী তথা বালুঘাটের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের। গতকাল রাতে গঙ্গারামপুরে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। অথচ সেই সময় সেখানে ছিলেন না তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তোরাফ হোসেন মণ্ডল। নতুন কমিটিতে অনেকেই বাদ পড়েছেন। আবার বিভিন্ন কমিটিতে অনেকেই যোগ হয়েছেন। ভোটের ঠিক আগের মুহুর্তে দলীয় কমিটি থেকে অনেককে বাদ দেওয়া ঠিক ভাল হয়নি বলে মনে করছেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল।

তৃণমূলের ঘোষণা অনুযায়ী নতুন কমিটিতে গঙ্গারামপুর ব্লকের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত সভাপতি ও চেয়ারম্যান পরিবর্তন করে নতুন সভাপতি ও নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে। সব থেকে বেশি পরিবর্তন গঙ্গারামপুর ব্লকে। এখানে আবার গত পঞ্চায়েতে ভাল ফল করেছিল তৃণমূল। বংশিহারী ব্লকের বুনিয়াদপুর পুরসভার চেয়ারম্যানকে কিছুদিন আগে পরিবর্তন করা হয়। বালুরঘাট ও বুনিয়াদপুর শহর সভাপতিকেও পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়াও হরিরামপুর, কুশমণ্ডি, কুমারগঞ্জ, তপন ও বালুরঘাট ব্লকেও পরিবর্তন হয়েছে। 

প্রকাশ্যে বলতে না চাইলেও জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদের একাংশ দাবি করছেন, এর ফলে বিজেপির সুবিধা হবে। কারণ, যাঁদের নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ভাল ফল করেছিল সেই কমিটিকে পরিবর্তন করে নতুন কমিটি তৈরি করার ফলে তার উল্টো প্রভাব পড়তে বাধ্য। এই ধরনের পরিবর্তন না করে বরং বর্ধিত কমিটি করে পরিস্থিতি সমাল দেওয়া যেত।

এ বিষয়ে তৃণমূলে জেলা চেয়ারম্যান তোরাফ হোসেন মণ্ডল বলেন, পার্টিতে প্রার্থীকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেহেতু বিপ্লববাবু বালুরঘাট লোকসভা আসনের প্রার্থী, তাই তার ইচ্ছা মতো এই নতুন কমিটি তৈরি হয়েছে। তিনি প্রার্থী হিসেবে সই করতে পারেন। আমার সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছিল। এই কমিটির প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে। কিন্তু এটা ঠিক যে ভোটের আগে এইভাবে কমিটি পরিবর্তন করার ফলে পুরনো যারা ছিলেন তাঁদের খারাপ লাগতে পারে।

এবিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার ফ্লপ শো করার পর দায় কার তাই নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছেন। তার ঠিক দুই দিনের মধ্যে জেলা জুড়ে পরিবর্তনও করা হয়েছে। কমিটিতে কিন্তু তার সুফল কিছু হবে না। তৃণমূল কংগ্রেসকে সাধারণ মানুষ পছন্দ করছে না তাদের হার এবার নিশ্চিত।

এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, এটা রাজ্য কমিটির নির্দেশেই ইলেকশন কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। চটজলদি সিদ্ধান্ত নিতে গেলে একটা নির্বাচন কমিটি তৈরি করা দরকার তাই ১৭ জনের নির্বাচন কমিটি তৈরি হয়েছে প্রাথমিকভাবে। যারা শহরের সভাপতি ছিলেন তাদের পরিবর্তন করে তাদেরকে জেলা কমিটিতে নেওয়া হচ্ছে। তিনটি পুরসভাতে নতুন সভাপতি নিয়োগ করা হচ্ছে। ব্লকের নির্বাচন কমিটি তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তিনি তাঁর পছন্দ মত লোকদের দিয়ে ব্লকের নির্বাচন কমিটি তৈরি করবেন।

Next Article