AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Police slaps protester: ‘গরম দেখাচ্ছেন’, বলেই সিপিএম নেতাকে সপাটে চড় আইসি-র, পুলিশের ভূমিকায় বাড়ছে ক্ষোভ

Police slaps protester: ওই সিপিএম নেতাকে চড় মারার পর আইসি বলেন, "ফাজলামো হচ্ছে।" এখানেই না থেমে আইসি বলেন, "গরম চলবে না। দাদাগিরি চলবে না।" আন্দোলনকারীরা বলেন, "আমরা কেউ দাদাগিরি করিনি।" এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ ওই বাম নেতাকে গ্রেফতার করে।

Police slaps protester: 'গরম দেখাচ্ছেন', বলেই সিপিএম নেতাকে সপাটে চড় আইসি-র, পুলিশের ভূমিকায় বাড়ছে ক্ষোভ
সিপিএম নেতাকে চড় বংশীহারী থানার আইসি-রImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2025 | 2:46 PM
Share

বংশীহারী: ভারত বনধের সমর্থনে রাস্তা অবরোধকারী সিপিএম নেতাকে সপাটে চড় পুলিশ অফিসারের। বুধবার সকালে এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীতে। শুধু চড় মারাই নয়, মাজেদার রহমান নামে ওই সিপিএম নেতাকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এই নিয়ে সরব হয়েছে বামেরা। বংশীহারী থানার আইসি অসীম গোপের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হবে বলে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়েছে। এভাবে বনধ সমর্থনকারীকে চড় মারা নিয়ে পুলিশ মুখে কুলুপ এঁটেছে।

১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের ডাকে আজ দেশজুড়ে বনধ পালন হচ্ছে। রাজ্যেরও বিভিন্ন প্রান্তে বনধ সমর্থনকারীরা রাস্তায় নেমেছেন। তেমনই বংশীহারীতেও বাম কর্মী-সমর্থকদের রাস্তায় নামতে দেখা যায়। বংশীহারীতে পিকেটিং করার সময় থানার আইসি অসীম গোপের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা।

এক আন্দোলনকারীকে বংশীহারী থানার আইসি বলেন, “পিকেটিং করতে পারবেন। কিন্তু, গাড়ি আটকানো যাবে না।” এরপরই সিপিআইএমের বংশীহারী এরিয়া কমিটির সদস্য মাজেদার রহমানের সঙ্গে বচসা বাধে আইসি-র। মাজেদারকে অসীম গোপে বলেন, “অনেকক্ষণ আন্দোলন করছেন। এবার ছাড়তে হবে।” তার জবাবে মাজেদার বলেন, “সারাদিন আন্দোলন করব।” তখন আইসি বলেন, “গরম দেখাচ্ছেন।” জবাবে মাজেদার বলেন, “না গরম দেখাইনি।” সঙ্গে সঙ্গে বাঁ হাতে সপাটে মাজেদারকে চড় মারেন আইসি।

বংশীহারী থানার আইসি অসীম গোপ

ঘটনায় হতচকিয়ে যান ওই সিপিএম নেতা। চড় মারার পর আইসি বলেন, “ফাজলামো হচ্ছে।” এরপরই পুলিশ ওই বাম নেতাকে গ্রেফতার করে। এখানেই না থেমে আইসি বলেন, “গরম চলবে না। দাদাগিরি চলবে না।” আন্দোলনকারীরা বলেন, “আমরা কেউ দাদাগিরি করিনি।” এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা স্লোগান দেন, “পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়ো। তৃণমূলের ঝান্ডা ধরো। ধর্মঘটে পুলিশের অত্যাচার মানছি না, মানব না।”

এই ঘটনায় পুলিশকে আক্রমণ করে সিপিআইএমের বংশীহারী এরিয়া কমিটির সম্পাদক বাবলুচন্দ্র দে বলেন, “আমরা সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে মানুষকে ধর্মঘটের কারণ জানাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখলাম আমাদের এক নেতৃত্ব মাজেদার রহমানের গালে সপাটে চড় মারেন। তাঁকে গ্রেফতার করেন। উপরতলার নির্দেশেই তিনি এ কাজ করেছেন। পুলিশের এই ধরনের আচরণ আগে কোনওদিন দেখিনি। এখন দেখে মনে হল, পুলিশ তৃণমূলের সবচেয়ে বড় গুন্ডা। অনুব্রতর মতো লোক যখন পুলিশের মা-বোন তুলে গালিগালাজ করে, তখন লেজ গুটিয়ে বসে থাকে। আমরা এসডিপিও ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানাব। কোনও পদক্ষেপ করা না হলে আমরা পরবর্তীকালে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব।” পুলিশ অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।