Gangarampur News: পাড়ার বৌ-এর সঙ্গে পরকীয়া করছেন যুবক, শুধুমাত্র সন্দেহ করেই পিটিয়ে মেরে ফেলা হল
Deadbody Recover: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল পাটন এলাকায় পাঁচু মদ খেতে গিয়েছিলেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই এলাকার এক গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। শুধুমাত্র সেই সন্দেহে গতকালকে পাঁচু হালদারকে এলাকার একটি গাছের মধ্যে বেঁধে রেখে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
গঙ্গারামপুর: জড়িয়ে পড়েছিলেন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে। আর সেই সন্দেহ থেকেই এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানার পাটোন এলাকায়। মৃতের নাম পাঁচু হালদার (২৭)। পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। সোমবার ওই যুবককে উদ্ধার করেও গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গোটা ঘটনায় গতকাল রাত্রিবেলা গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দ্বীপাঞ্জন ভট্টাচার্য। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মঙ্গলবার দেহটি ময়নাতদন্তের পাঠানোর পাশাপাশি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল পাটন এলাকায় পাঁচু মদ খেতে গিয়েছিলেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই এলাকার এক গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। শুধুমাত্র সেই সন্দেহে গতকালকে পাঁচু হালদারকে এলাকার একটি গাছের মধ্যে বেঁধে রেখে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানেই তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। পরে বিষয়টি জানাজানি হতেই পরিবারের লোকজন ছুটে যায় এবং খবর যায় গঙ্গারামপুর থানায়। পুলিশের সাহায্যে গঙ্গারামপুর থানার পাটন এলাকা থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় গঙ্গারামপুর হাসপাতালে। এরপরই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পাঁচু হালদারকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পাঁচু হালদারের বাড়ি মহারাজপুর এলাকার রথখোলা এলাকায়। পিটিয়ে মারার অভিযোগে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে এবং সেই সঙ্গে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবিতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ সুভাষ সরেন, যিশু মার্ডি এবং লোকেশ মুর্মুকে আটক করে। মঙ্গলবার তাদের গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তুলবে পুলিশ। পাশাপাশি দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।