Mob Lynching Case: হাত-পা পিছমোড়া করে বাঁধা, মুখ দিয়ে বের হচ্ছে রক্ত! গ্রামের গলিতে যুবককে দেখে শিহরিত প্রতিবেশীরা

Mob Lynching Case: জানা গিয়েছে, মঞ্জুরুল নাম ওই যুবক পেশায় শ্রমিক। তিনি ভিন রাজ্যে কাজ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সোমবার রাতে বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ওই যুবককে কিছুজন মিলে ঘিরে ধরে।

Mob Lynching Case: হাত-পা পিছমোড়া করে বাঁধা, মুখ দিয়ে বের হচ্ছে রক্ত! গ্রামের গলিতে যুবককে দেখে শিহরিত প্রতিবেশীরা
গঙ্গারামপুরে যুবককে পিটিয়ে খুন (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2022 | 10:14 AM

দক্ষিণ দিনাজপুর: গাছে বেঁধে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার দুমুঠো সীমান্ত এলাকায়৷ মৃত ওই যুবকের নাম মঞ্জুরুল হোসেন (২৬)। বাড়ি দুমুঠো এলাকায়।

জানা গিয়েছে, মঞ্জুরুল নাম ওই যুবক পেশায় শ্রমিক। তিনি ভিন রাজ্যে কাজ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সোমবার রাতে বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে ওই যুবককে কিছুজন মিলে ঘিরে ধরেন। রাস্তাতেই তাঁকে এলোপাথাড়ি মারা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি তখনকার মতো মিটে যায়। কিন্তু স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মংলু রায় নামে এক ব্যক্তি মঞ্জুরুলকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। আহত অবস্থাতেই মঞ্জুরুল সেখানে যান।

অভিযোগ, এরপর থেকেই আর মঞ্জুরুলের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। সোমবার মধ্যরাতে খবর পান মঞ্জুরুলের পরিবার। তাঁরা ওই এলাকাতে গিয়ে দেখেন একটি গাছে মঞ্জুরুলকে বেঁধে রাখা হয়েছে।  তাঁর সারা শরীর রক্তাক্ত ছিল। যতক্ষণে তাঁকে উদ্ধার করা হয়, মৃত্যু হয় মঞ্জুরুলের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

পুলিশ গেলে গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। কীভাবে মঞ্জুরুলের মৃত্যু হল, সঠিক তদন্তের দাবি তুলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মংলু নামে ওই যুবক মঞ্জুরুলকে কিছুদিন আগে টাকা ধার দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ না থাকায় মঞ্জুরুল সেই টাকা ফেরত দিতে পারছিলেন না। আর তাতেই অশান্তি হয় দুজনের।

এর আগেও একাধিকবার মঞ্জুরুলকে মংলু শাসান বলে অভিযোগ। তবে কেবল এই কারণেই খুন কিনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মঞ্জুরুল কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য কিনা, এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আপাতত দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গ্রামে উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিশ্চিত পুরনো কোনও বিবাদের জেরেই এই খুন। বাকি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তের পরিবারের সকলেই৷ গ্রাম ঘিরে রেখেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।

নিহত যুবকের দাদা বলেন, “আমার ভাই বাজার থেকে বাড়ি আসছিল। আমরা তখন বাড়িতেই ছিলাম। আমরা খবর পাই রাত দেড়টা নাগাদ। গিয়ে দেখি ওর হাত পা বাঁধা। ইচ্ছে মতো পিটিয়েছে ওকে। আমরা বলেছিলাম ছেড়ে দাও, হাসপাতালে নিয়ে যাব। কিন্তু ছাড়েনি। যতক্ষণে নিয়ে যাই, ও শেষ। ওকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল নাকি ফোন করে ডেকেছিল, সেটা স্পষ্ট জানি না।”

আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে গিয়েছিলেন, যুবকের নগ্ন ভিডিয়ো ছড়াল সামাজিক মাধ্যমে