দক্ষিণ দিনাজপুর: বালুরঘাট বিমানবন্দর (Balurghat Airport) চালু করার ব্যাপারে গত বছরই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড় বিমান নামানোর জন্য এই বিমানবন্দরের রানওয়ে বাড়ানোরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেইমতোই শুক্রবার এই বিমানবন্দর ঘুরে দেখলেন রাজ্য পরিবহণ দফতর ও এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, যে রানওয়ে রয়েছে তা আরও বাড়ানো হবে। এখন এয়ারপোর্টের রানওয়ে ১৩৮০ মিটার রয়েছে। তবে বড় বিমান নামার জন্য ১৮০০ মিটার রানওয়ে প্রয়োজন। বিমানবন্দরের জমি বাড়িয়ে সেই রানওয়ে কীভাবে বাড়ানো যায় তা খতিয়ে দেখেন উপস্থিত আধিকারিকরা। তা নিয়ে একটি সমীক্ষাও শুরু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। শুক্রবার এই পরিদর্শনে ছিলেন জেলাশাসক আয়েশা রানি, অতিরিক্ত জেলাশাসক সাধারণ বিবেক কুমার-সহ অন্যান্য আধিকারিকও।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে গত ২১ ডিসেম্বর বালুরঘাটে এয়ারপোর্ট অথরিটি ও রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা পরিদর্শন করেন। এরপর বালুরঘাট এয়ারপোর্টের ছাড়পত্র মেলে। এরপরই বিমানবন্দরে বাকি অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়। এবার ৯০ আসন সংখ্যাবিশিষ্ট বড় বিমান নামানোর জন্য এয়ারপোর্টের রানওয়ে বাড়ানোর সিন্ধান্ত নেওয়া নিয়েছে রাজ্য সরকার। কয়েকমাস আগে বালুরঘাট বিমানবন্দরের রানওয়ে পরীক্ষা করেন এয়ারপোর্ট অথরিটি।
বালুরঘাট শহরে প্রবেশ মুখে মাহিনগর এলাকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সামরিক প্রয়োজনে ব্রিটিশরা বালুরঘাটে একটি অস্থায়ী বিমানবন্দর তৈরি করেছিল। পরে পাঁচের দশকে স্থায়ীভাবে এখান থেকে তাদের বিমান পরিষেবা চালু হয়। যদিও ধীরে ধীরে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে ভারত-চিন যুদ্ধ, ৭১-এর যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে। এছাড়াও ১৯৮৪ সালের দিকে এই বিমানবন্দর চালু ছিল। পরে ফের বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১৫-১৬’এর দিকে রাজ্য পূর্ত দফতর থেকে প্রায় ১১ কোটি টাকায় বিমানবন্দরের সমস্ত পরিকাঠামোর কাজ শুরু করে। ২০১৭ এর শেষে প্রায় কাজ শেষ হলেও এখনও বিমান চালু হয়নি।
এ বিষয়ে জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, “বালুরঘাটে বড় বিমান নামানোর জন্য এয়ারপোর্টের রানওয়ে বাড়ানোর সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই উদ্দেশে আজ আমাদের জেলাপ্রশাসন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা যৌথ পরিদর্শন করে। এখন ১৩৮০ মিটার রানওয়ে রয়েছে। বড় বিমান নামার জন্য ১৮০০ মিটার রানওয়ে প্রয়োজন। তাই কিভাবে রানওয়ে বাড়ানো হবে, তা খতিয়ে দেখা হয়।”
আরও পড়ুন: Asha Workers Agitation: ‘কোনও প্রতিশ্রুতিই তো রাখল না সরকার!’ ধর্মতলায় আজ বেগুনি মিছিল