Death: একটু আগেই ঘরে চা দিয়ে গেল মা, এরইমধ্যে সব শেষ? চোখের সামনে বারবার ভাসছে বীভৎস সেই দৃশ্য
Dakkhin Dinajpur: কালীপুজোর সময় আনা বাজিগুলি ঘরেই রাখা ছিল। বেশিরভাগই তুবড়ি। এদিন সেগুলিই জ্বালাতে যান ওই মহিলা।
দক্ষিণ দিনাজপুর: কালীপুজোর সময় বাড়িতে আনা হয়েছিল আতসবাজি। সেই বাজি ফেটে মৃত্যু হল এক মহিলার। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর (Gangarampur) পুরসভার হাইস্কুল পাড়া এলাকায়। এমন ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। নিহতের নাম শম্পা অধিকারী (৫৫)।
জানা গিয়েছে, শম্পাদেবীর এক ছেলে, এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্বামী, ছেলেকে নিয়ে সংসার ছিল তাঁর। বুধবার রাতে ছেলেকে চা করে দেন তিনি। এরপরই ঘরে পড়ে থাকা বাজিগুলি বের করে আনেন বাইরে। একটি তুবড়ি ধরাতেই আগুন লেগে যায় শম্পাদেবীর শরীরে। সামনেই ঝুলছিল আরেকটি শাড়ি। তাতেও আগুন লেগে যায়। এরপর বীভৎসভাবে পুড়ে যান তিনি। ছেলে ছুটে এলেও মাকে বাঁচাতে পারেননি।
তড়িঘড়ি পরিবারের সদস্যরা দগ্ধ মহিলাকে নিয়ে ছোটেন গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই বুধবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। বৃহস্পতিবার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। শম্পাদেবীর স্বামী নকুল অধিকারী ব্যবসায়ী। তিনি জানান, বুধবার রাতে ছেলেকে চা দিয়ে, ভাতও বসান স্ত্রী। এরপরই কালীপুজোর সময় আনা বাজি ধরাতে যান। মূলত তুবড়িই ছিল। একটি তুবড়ি ফেটেই ঘটনাটি ঘটে।
নকুল অধিকারী বলেন, “বাজি ফাটাতে গিয়ে আগুন লেগে যায়। রাত ৮টা সওয়া ৮টার ঘটনা। আমি দোকানে ছিলাম, ছেলে ছিল দোকানে। ছেলেকে চা দিয়ে বাজি ফাটাতে গিয়েছিল বলে শুনলাম। যখন সারা শরীর দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে তখন চিৎকার করে ওঠে। ছেলে দরজার ভিতর থেকেই দেখে সেই দৃশ্য। গায়ে জল দিয়ে আগুন কোনওভাবে নেভানো হয়। এরপরই ধরাধরি করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আয়া যিনি ছিলেন তিনি জানান, রাত সাড়ে ১২টা ১ টা অবধি কথাও বলে। এরপরই মারা যায়।” এ বিষয়ে গঙ্গারামপুর থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।