AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SSC Group D: ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কারা, ওয়েবসাইটে নামের তালিকা দিয়ে দিল SSC

Group D: ওএমআর শিটে গোলমালের জেরেই এই সুপারিশ বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

SSC Group D: ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কারা, ওয়েবসাইটে নামের তালিকা দিয়ে দিল SSC
হাইকোর্টে নিয়োগ মামলা।
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2023 | 4:53 PM
Share

বালুরঘাট: কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবারই (১০ ফেব্রুয়ারি) নির্দেশ দিয়েছে ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশ বাতিল করতে হবে। ওএমআর শিটে গোলমালের জেরেই এই সুপারিশ বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুপারিশ বাতিল হলে সেক্ষেত্রে যাঁরা চাকরি করছেন তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে। আদালতের এই নির্দেশের পর থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে ‘বেঠিক সুপারিশে’ চাকরি করছেন, এমন তালিকা আসতে শুরু করেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেই ৪০ জনের বেশি গ্রুপ ডি কর্মীর কথা শোনা যাচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে ১৯১১ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ দিনাজপুরেরই ৪২ জনের নাম রয়েছে। শিলিগুড়িরও সাতজন রয়েছেন তালিকায়।

এ নিয়ে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি। তবে তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই জেলায় জেলায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে বালুরঘাটের এক নামকরা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বলেন, “আমার স্কুলের একজন গ্রুপ ডি কর্মীর নাম আগে প্রকাশ হয়েছিল। চাকরি বাতিল নিয়ে কোনও নির্দেশিকা এখনও আসেনি। ডিআই অফিস থেকে যেমন নির্দেশিকা আসবে সেইভাবেই কাজ এগোবে।”

তবে এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, স্কুল শিক্ষিকার পর গ্রুপ ডি চাকরিতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে৷ জেলার প্রায় ৪০-৪২ জনের নাম রয়েছে। যারা অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছে, তাদের চাকরি তো যাওয়াই উচিত।

অন্যদিকে তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কোঅর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, “অসৎ উপায়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, আদালতের নির্দেশে তাঁদের চাকরি গিয়েছে। এই বিষয়টি আদালতের। তাই এ নিয়ে দলগতভাবে কোনও মন্তব্য নেই। তবে বিজেপি যে অভিযোগ করছে তা ভিত্তিহীন।” তবে এ নিয়ে জেলা মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা পরিদর্শক মৃণ্ময় ঘোষ সাংবাদিকদের সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।