আজই কি গুরুং-মোর্চায় তামাং যোগ? পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ
Darjeeling: এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তামাং অনীত থাপার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে মোর্চাকে শক্তিশালী করতে চাইছেন।
দার্জিলিঙ: পাহাড়ে ফের নয়া সমীকরণ। সংঘাতের চরাই উতরাই অতীত। আবারও কাছাকাছি বিমল গুরুং-বিনয় তামাং। জিটিআই গেস্ট হাউজ়ে বৈঠকের পর একসঙ্গে পথ চলার ঘোষণা করেছেন তামাং। আজই রয়েছে গুরুং-মোর্চায় যোগের সম্ভাবনাও।
আজ, বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করবেন বিমল গুরং। মনে করা হচ্ছে, দূরত্ব ভুলে ফের এক সঙ্গে হাতে হাত মেলাবেন বিনয় তামাং। বুধবার রাতেই তাঁরা বৈঠক করেন। তামরপর হাসিমুখেই তাঁরা দু’জন দু’দিকে বেরিয়ে যান। আজ থেকে পাহাড়ের রাজনীতিতে ভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত রয়েছে।
বিমন তামাং বলেন, “পাহাড়ের মানুষের ভবিষ্যত নিয়েই দুজনের কথা হয়েছে। গোর্খাদের নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের মধ্যে কিছু মত আলাদ ছিল। তবে গোর্খাদের সমস্যা নিয়ে একসঙ্গেই কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে।” প্রসঙ্গত পাহাড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দুভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার পরে মোর্চার দ্বিতীয় অংশের প্রধান ছিলেন বিনয় তামাং।
এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তামাং অনীত থাপার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে মোর্চাকে শক্তিশালী করতে চাইছেন। কিছু মতের অমিলে মোর্চা ছেড়েছিলেন বিনয়। তার অনুগামীরাও পতাকা জমা রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে গুরুং ও তামাং যে নৈকট্য বাড়াচ্ছেন তা স্পষ্ট হচ্ছিল, বিনয় যখন মোর্চা ছেড়ে যাওয়ার পরও গুরঙের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
২০১৭ সালের জুন মাসের পর ফের বুধবার মুখোমুখি হন তাঁরা। চার বছর পর একসঙ্গে বৈঠকের পরই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা স্পষ্ট বুঝতে পারছিলেন, তামাংয়ের ঘরে ফেরা এখন সময়ের অপেক্ষা। যদিও তামাংয়ের ঘরে ফেরাকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, তামাং আদতে অস্তিত্বহীনতায় ভুগছেন। তাই গুরুঙের শরণাপন্ন হচ্ছে। আরও পড়ুন: ভাঙড়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বাড়ির অদূরেই বোমা উদ্ধার, শুরু চর্চা