শিলিগুড়ি: চার দফা শেষ। বাকি আর তিন। লোকসভা নির্বাচনের কয়েক দফায় ভোট গ্রহণের পর আপাতত স্ট্রংরুমে বন্দি রয়েছে ভোটবন্দি ইভিএম। সেই স্ট্রংরুমের নিরাপত্তায় কার্যত ত্রিস্তর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। দার্জিলিং লোকসভার ক্ষেত্রে তিনটি স্ট্রংরুম রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং ও শিলিগুড়িতে।
শিলিগুড়ি কলেজে স্ট্রংরুম ঘিরে রয়েছে নিরাপত্তা বলয়। প্রথম স্তরে রয়েছে রাজ্য পুলিশ। কারা আসছেন, কেন আসছেন তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি স্ট্রংরুমের সামনে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতিপত্র যাচাই করার কাজ করছেন তাঁরা। সেই স্তর পেরিয়ে এগোলে দ্বিতীয় নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের তরফেও কারা আসছেন তা যাচাই এর পর মিলছে অনুমতি। এরপর তৃতীয় স্তর। সেখানে ২৪ ঘন্টায় তিনটি শিফটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। রয়েছে ২৪ ঘণ্টার সিসিটিভি নজরদারি। প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি প্রার্থীদের অনুমোদিত ব্যক্তিরা পরিচয় পত্র দেখিয়ে স্ট্রং রুমের সামনে অবধি যেতে পারেন। যে ঘরগুলিতে ইভিএম রয়েছে সেগুলি তালাবন্দি রয়েছে। ভিতরে ও বাইরে লাগানো রয়েছে সিসি ক্যামেরা।
স্ট্রং রুমের কাছেই রয়েছে একটি মনিটরিং রুম। যেখানে ক্যামেরায় নজরদারির কাজে নিযুক্ত আছেন পুলিশ কর্মীরা। প্রার্থী ও দলের অনুমোদিত কর্মীরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে ওই ঘরে গিয়ে চাইলে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করতে পারেন।
তৃণমূলের তরফে মুখপত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, এবার বুথ থেকে ১৭সি ফর্ম পেলেও কমিশনের তরফে বুথভিত্তিক ভোটগ্রহণের তথ্য এখনও মেলেনি। রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। আমাদের দলের তরফেও নির্দিষ্ট কয়েকজন যাচ্ছেন। স্ট্রং রুমের লক এবং সিসিটিভি ফুটেজ তারা খতিয়ে দেখে ফিরছেন।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি নান্টু পাল বলেন, আমরা চাইছি নিরাপত্তার আরও কড়াকড়ি হোক। প্রথম স্তর এবং দ্বিতীয় স্তরের বাইরে রাজ্য পুলিশ আছে। বিরোধীরা গেলে তাদের কার্ড দেখেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শাসক দলের কেউ যত্রতত্র যাচ্ছেন কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে। ভোট গণনার দিন এবং স্ট্রংরুম পাহারায় যে পুলিশ ও সরকারী কর্মীরা আছেন তাঁরা স্থায়ী কর্মী কিনা সেসব তথ্য কমিশন খতিয়ে দেখুক।