AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR in Bengal: শিলিগুড়ি ডাবগ্রামে বাংলাদেশিদের রমরমা? ফর্ম আনতে গিয়ে উদ্বিগ্ন বিএলও-রাই

SIR: ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায় তো আবার ঘুরিয়ে বিজেপির দিকে আঙুল তুলছেন। তাঁরও দাবি, এলাকায় প্রচুর বাংলাদেশি রয়েছে।

SIR in Bengal: শিলিগুড়ি ডাবগ্রামে বাংলাদেশিদের রমরমা? ফর্ম আনতে গিয়ে উদ্বিগ্ন বিএলও-রাই
এলাকায় চাপানউতোর Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2025 | 4:52 PM
Share

শিলিগুড়ি: হাকিমপুর থেকে স্বরূপনগর, তারালি বিগত কয়েকদিনে দক্ষিণবঙ্গের এই সব সীমান্তবর্তী এলাকায় শুধুই মানুষের ভিড়। ভিড় বাংলাদেশে ফেরার। চোখেমুখে এসআইআর আতঙ্ক হাজার হাজার মানুষের। সতর্ক সীমান্ত রক্ষী বাহিনীও। তবে ছবিটা কমবেশি একই উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্তে। সন্দেহজনক ভোটারদের কথা বলছেন বিএলও-রাই। এলাকায় বাংলাদেশিদের রমরমার কথা মানছে তৃণমূল-বিজেপি। ভোটারদের একাংশও জানাচ্ছেন তারা ২০০২ পরবর্তীতে সময়ে এখানে এসে বসবাস করতে গিয়ে এখন চরম বিপাকে পড়েছেন।  

২০০২ সালের পর বাংলাদেশ থেকে আসা ভুড়ি ভুড়ি বাসিন্দাদের খোঁজ মিলছে শিলিগুড়ি সংলগ্ন ডাবগ্রাম দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বিএলওরা জানাচ্ছেন এলাকায় ফর্ম জমা দিতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নামই নেই বহু মানুষের। জিঞ্জাসা করলে অসংলগ্ন কথা বলছেন বহু ভোটার। 

ডাবগ্রাম দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকদইবাড়ি, মাঝাবাড়ি-সহ বিস্তৃর্ণ এলাকায় বহু নিম্নবিত্ত মানুষের বাস। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদের একটা বড় অংশ ২০০২ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে চলে এসেছেন। তারপরই এ দেশের ভোটার কার্ড বানিয়ে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন। এখন এসআইআর শুরু হওয়ায় এরা কেউ ২০০২ সালের নাগরিক সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারছেন না। বিএলওরা জানাচ্ছেন কেউ কেউ অসংলগ্ন বলছেন, কেউ আবার অন্য কারও নাম অভিভাবক হিসেবে জানিয়ে ফর্ম জমা দিচ্ছেন। সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই মিলছে নানারকম উত্তর। 

এক বিএলও তো রীতিমতো উদ্বেগের সুরে বললেন, “অনেক এরকম ভোটারের খোঁজ মিলছে যাঁদের আগের কোনও লিঙ্ক নেই। জিজ্ঞাসা করলে কিছুই বলতে পারছেন না। কেউ বলছে আমার কাকুর আছে, আবার একটু পরে বলছে আমার জেঠুর আছে অসমে, তারপরে আবার বলছে বিহারে আছে। খুবই ধোঁয়াশায় আছেন এরকম অনেক ভোটার আছেন। অনেকেই আবার বলছেন বাংলাদেশেই থাকতেন।”  

দুই ভোটার তো নিজের মুখেই স্বীকার করলেন ২০০২ সালের পর এ দেশে এসে পড়াশোনার পাঠ শুরু। তারপর তা চুকিয়ে ব্যবসা। একজন বলছেন, “২০০৪ সালের পরে ভারতে আসি। আমাদের আগে ঢাকায় বাড়ি ছিল। আমাদের কাছে ভারতের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড সবই আছে। এখন বলছে নাম কাটা যেতে পারে। তা নিয়ে চিন্তায় আছি।”  

ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য সুধা সিংহ চট্টোপাধ্যায় তো আবার ঘুরিয়ে বিজেপির দিকে আঙুল তুলছেন। তাঁর দাবি, এলাকায় প্রচুর বাংলাদেশি রয়েছে। বিজেপি এদের মগজ ধোলাই করে ভোট নিত। এবার এসাইআর হলে বিজেপিরই ব্যুমেরাং হবে। অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন হিন্দু যে ভোটারেরা ২০০২ সালের পরবর্তী সময়ে এসেছেন তাদের সিএএ-তে নাম তুলে দেওয়া হবে।