Siliguri: ‘তখন তো মাথার ওপর দিয়ে উড়ছে শত্রুপক্ষের বিমান, লুকিয়ে পড়তে হল সুড়ঙ্গে’, মক ড্রিলে ঠিক কী শেখানো হয়, পূর্ব অভিজ্ঞতা শোনালেন নিধুভূষণ
Siliguri: সালটা ১৯৬৫। ভারত-পাক যুদ্ধের সময়ে মক ড্রিল শিখেছিলেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা নিধুভূষন দাস। কিন্তু সে সময়ে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বাসিন্দা। অর্থাৎ ভারত সে সময়ে শত্রুরাষ্ট্র! যে সময়ে যুদ্ধ লাগে, তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন!

শিলিগুড়ি: বাজবে এয়ার রেড সাইরেন, নিভে যাবে আলো! যুদ্ধ হলে কীভাবে আত্মরক্ষা করতে হবে, দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে প্রায় সব রাজ্যে ৭ তারিখ হবে মকড্রিল! কিন্তু মক ড্রিলে ঠিক কী শেখানো হয়? বললেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা নিধুভূষণ দাস।
সালটা ১৯৬৫। ভারত-পাক যুদ্ধের সময়ে মক ড্রিল শিখেছিলেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা নিধুভূষন দাস। কিন্তু সে সময়ে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বাসিন্দা। অর্থাৎ ভারত সে সময়ে শত্রুরাষ্ট্র! যে সময়ে যুদ্ধ লাগে, তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন! মাথার ওপরে আকাশে চক্কর দিচ্ছে শত্রু বিমান। ঘন ঘন সাইরেন বাজছে। সে সময়ে কী করতে হবে, তারই বর্ণনা দিলেন নিধুভূষণ।
সত্তরের কোঠায় এসে নিধুভূষণ করলেন স্মৃতিচারণ। তিনি বললেন, ” যদি এয়ার এইড সিগন্যাল হয়, সে সময়ে আমরা কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেব, কীভাবে আত্মরক্ষা করব, সেটাই শেখানো হয়েছিল আমাদের। আমি সে সময়ে স্কুলে পড়তাম। তাই তখন বলা হয়েছিল, স্কুলের মধ্যে যদি হামলা হয়, তাহলে সুড়ঙ্গের মধ্যে কীভাবে ঢুকব, সেটা শেখানো হয়েছিল। স্কুলের মধ্যে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল।” তিনি বললেন, “সাইরেন বাজলেই আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। বাড়িতেও সেময়ে সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করার কথা বলা হয়েছিল। সেগুলো কখনই সোজা হবে না, হতে পারে Z আকৃতির হল।”
তিনি জানাচ্ছেন, রাতে এয়ার এইড সাইরেন বাজলেই সমস্ত লাইট বন্ধ করে ফেলতে হবে। শত্রুপক্ষের বিমান যাতে কোনওভাবেই বুঝতে না পারে, কোথায় জনবসতি রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের বাড়ি ছিল ঢাকার কাছে একটি গ্রামে। আমাদের গ্রামের আকাশের ওপর দিয়ে সে সময়ে শত্রুপক্ষের বিমান উড়ে যাচ্ছে, সেটাও দেখেছি, বিমান ধাওয়াও করেছিল। যখনই সিগন্যাল বাজত, আমরা সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়তাম। আমার তো এখন আগের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সরকারের উদ্যোগেই হয়।” তাঁর কথায়, “লড়াই করবে সেনাবাহিনী, পাশে দাঁড়াতে হবে আমাদের। আর আত্মরক্ষার বিষয়টাকে জেনে নিতে হবে।”

