Durgapur: ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময়ে প্রতিবেশী কাকিমার একটা কথা! বাড়ি ফিরে চরম সিদ্ধান্ত ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ার
Durgapur: বৃহস্পতিবার সুরজের স্কুলে ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে ঢিল নিয়ে খেলতে খেলতে বাড়ি ফিরছিল সে। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, সুরজ সাধারণত এইভাবে খেলা করতে করতে চলাফেরা করে।
দুর্গাপুর: পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরছিল ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া। পথে পা পড়েছিল প্রতিবেশীর জ্বালানি গুলে। সেটাই হল অপরাধ। বাড়িতে গিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়াকে চরম অপমান করে এসেছিলেন প্রতিবেশী ‘কাকিমা’। আর তারপরই চরম পরিণতি। সেই প্রতিবেশী ‘কাকিমা’ চলে যাওয়ার পর ঘরে চলে গিয়েছিল পড়ুয়া। তারপর ঘর থেকে উদ্ধার হয় গলায় গামছার ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ। মর্মান্তিক ঘটনা দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার উড ইন্ডাস্ট্রি এলাকায়। মৃত পড়ুয়ার নাম সুরজ ঠাকুর (১৩)। নেপালি পাড়া হিন্দি হাই স্কুলের পড়ুয়া। ঘটনার পরই প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অভিযুক্ত মহিলার বাড়িতে চড়াও হন তাঁরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সুরজের স্কুলে ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে ঢিল নিয়ে খেলতে খেলতে বাড়ি ফিরছিল সে। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, সুরজ সাধারণত এইভাবে খেলা করতে করতে চলাফেরা করে। কিন্তু তখনই তুলসী রুইদাসের দেওয়া জ্বালানি গুলে পা পড়ে যায় তার। বিষয়টা দেখে ভীষণ রেগে যান তুলসী। তখনই তাকে বকাঝকা করেন। সেখানেই শেষ নয়। অভিযোগ, এরপর বাড়ি বয়ে এসে সুরজকে অপমান করে যান তুলসী। সেই সময় সুরজের মা বাড়িতে ছিলেন না।
তারপরেই সুরজ বাড়ির ভেতরে দরজা লাগিয়ে ঢুকে যায়। জানা যাচ্ছে, সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন সুরজের মা। ছেলেকে দেখতে না পেয়ে অনেক ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সুরজ দরজা না খোলায় প্রতিবেশীদের ডাকেন। প্রতিবেশীরা গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই দেখেন গলায় গামছা দিয়ে ঝুলছে সুরজ। সুরজকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সুরজের মা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সব জানতে পারেন। এরপরই তাঁরা অভিযুক্ত তুলসীর বাড়িতে চড়াও হন। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে আগে থেকেই পালিয়ে যান তুলসী রুইদাস । তুলসী ও তাঁর স্বামী জগু রুইদাসকে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন এলাকাবাসীরা।