SIR in West Bengal: SIR-র আগে বাংলায় কমিশনের জেলাওয়াড়ি বৈঠক, মুখোমুখি বসবেন ERO ও BLO-রা
Election Commission: দিল্লির এই বৈঠকের পরই রাজ্যের সব জেলায় প্রথমবার বিএলও-দের নিয়ে বৈঠকে বসার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে কমিশন। জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে জেলাওয়াড়ি বৈঠক। তাতে মুখোমুখি আলোচনায় বসবেন ইআরও এবং বিএলও-রা। ইতিমধ্য়ে দাঁতন, কেশিয়ারি, খড়গপুর সদর, খড়গপুর, নারায়ণগড়, শবংয়ের বিএলও-দের বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইআরও-দের তরফে।

কলকাতা: দিল্লির বৈঠক আপাতত শেষ। এবার শুরু হবে জেলাওয়াড়ি বৈঠক। মুখোমুখি বসবেন বিএলও এবং ইআরও-রা। বৃহস্পতিবার বিকালে দিল্লিতে এসআইআর নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক শেষ হতেই বাংলায় জেলাওয়াড়ি বৈঠকের কথা ঘোষণা করে দিলে কমিশন। এসআইআর নাকি বিধানসভা নির্বাচন, কী নিয়ে আলোচনায় এই বৈঠকে?
দিল্লিতে মিটল বৈঠক
বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত দেশের একাধিক রাজ্য় ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও-দের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। দিল্লির এই দু’দিনব্য়াপী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং ও বিবেক যোশী। রাজধানীতে আয়োজিত এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়ই ছিল ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআর।
বৈঠকে রাজ্যের সিইওদের এসআইআর সংক্রান্ত চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। এছাড়াও, ভোটমুখী রাজ্য যথাক্রমে বাংলা, অসম, কেরল, পুঁদুচেরি ও তামিলনাড়ুর সিইওদের নিয়ে আলাদা ভাবে বৈঠক করেছেন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা।
মুখোমুখি ইআরও এবং বিএলও-রা
দিল্লির এই বৈঠকের পরই রাজ্যের সব জেলায় প্রথমবার বিএলও-দের নিয়ে বৈঠকে বসার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে কমিশন। জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে জেলাওয়াড়ি বৈঠক। তাতে মুখোমুখি আলোচনায় বসবেন ইআরও এবং বিএলও-রা। ইতিমধ্য়ে দাঁতন, কেশিয়ারি, খড়গপুর সদর, খড়গপুর, নারায়ণগড়, শবংয়ের বিএলও-দের বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইআরও-দের তরফে। সুতরাং এই বৈঠক চূড়ান্ত বলেই মনে করছেন একাংশের বুথ লেভেল অফিসাররা।
রয়েছে সঙ্কট
এসআইআর নিয়ে যতই গরম হচ্ছে আবহ, ততই যেন বাড়ছে সঙ্কট। এসআইআর হলে একেবারে প্রাথমিক বা তৃণমূল স্তরে নেমে যাঁদের কাজ, তাঁরা হলেন বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসার। এই বিএলও-রা আসলে রাজ্যের সরকারি ও সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাই তাঁদের ঘাড়ে এক সঙ্গে দু’টি দায়িত্ব। একদিকে ভোটার তালিকা সংশোধন, অন্য দিকে ক্লাস করানো। যার জেরে বাড়ছে টালবাহানা। ইতিমধ্য়েই রাজ্যে ৬০০ জন বিএলও-কে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। কেন তাঁরা বিএলও-র দায়িত্ব থেকে ‘রেয়াত’ তা জানতে চায় কমিশন। অবশ্য, ওই বিএলও-দের ক্লাস ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়।
