বহরমপুর: বহরমপুরের পাশাপাশি কলকাতার হোটেলে তরুণীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেও রক্ষাকবচ পেলেন না চিকিৎসক। ফিরতে হয়েছে নিম্ন আদালত থেকেও। শেষ পর্যন্ত আদালতে এসেই আত্মসমর্পণ করলেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। ঠাঁই জেলে। মূল ঘটনার সূত্রপাত মুর্শিদাবাদে। তরুণী পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত চিকিৎসক আবার জেলার এক নামজাদা সরকারি হাসপাতালে কর্মরত বলে জানা যাচ্ছে।
অভিযোগ, প্রথমে ২ ডিসেম্বর বহরমপুরের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ৮ ডিসেম্বর কলকাতায় গল্ফগ্রিনে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও মাদক খাইয়ে লাগাতার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী।
এদিকে জল মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে বুঝে ততক্ষণে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই চিকিৎসক। করেন আগাম জামিনের আবেদন। কিন্তু, কলকাতায় হাইকোর্ট থেকে এই আবেদনের জন্য তাঁকে নিম্ন আদালতে যেতে বলা হয়। এদিকে নিম্ন আদালতে গেলেও চিঁড়ে ভেজেনি। বহরমপুর জেলা আদালতে এসে বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলেও সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। উল্টে তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।