TMC leader arrested: পঞ্চমীর রাতে আরামবাগে যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার তৃণমূল নেতা
TMC leader arrested: মঙ্গলবার রাতে দেবাশিসবাবু তাঁর ভাগ্নে সায়ন চক্রবর্তীর খোঁজ করতে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ,তিনি দেখেন হেমন্ত পালের সঙ্গে বচসা হচ্ছে তাঁর ভাগ্নের। তখন প্রতিবাদ করায় তাঁকে লোহার রড ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করেন হেমন্ত পাল ও তাঁর সঙ্গীরা। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দেবাশিস। স্থানীয় বাসিন্দারা সংজ্ঞাহীন দেবাশিসবাবুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
আরামবাগ: পঞ্চমীর রাতে আমজনতা উৎসবে আনন্দে মাতোয়ারা। সেখানে বচসাকে কেন্দ্র করে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ওই তৃণমূল নেতা আবার ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কয়েকজন অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে খুন করেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে আরামবাগের পুরাতন বাজার সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি হেমন্ত পালকে। মৃত যুবকের নাম দেবাশিস আশ (৩২)। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিজেপি।
ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন আরামবাগ থানার আইসি রাকেশ সিং। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা হেমন্ত পালকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আরামবাগ পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের বাড়ি আরামবাগ পৌরসভার শ্রীনিকেতন পল্লিতে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে দেবাশিসবাবু তাঁর ভাগ্নে সায়ন চক্রবর্তীর খোঁজ করতে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ,তিনি দেখেন হেমন্ত পালের সঙ্গে বচসা হচ্ছে তাঁর ভাগ্নের। তখন প্রতিবাদ করায় তাঁকে লোহার রড ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করেন হেমন্ত পাল ও তাঁর সঙ্গীরা। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দেবাশিস। স্থানীয় বাসিন্দারা সংজ্ঞাহীন দেবাশিসবাবুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। চিকিৎসকরা দেবাশিসবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত হেমন্ত পাল দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতেন। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের চার নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সভাপতি হন। তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজি-সহ নানা অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনার নিন্দা করে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের হার্মাদ হেমন্ত পাল এর আগেও আমাদের কার্যকর্তাদের ওপর অত্যাচার করেছেন। আমরা বারবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। এবার রাস্তায় এক যুবককে মারধর করে মেরেই ফেলল। এই সমস্ত সমাজবিরোধীদের সমাজে থাকার কোনও অধিকার নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় এরা উন্মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ধৃত তৃণমূল নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়ার প্রয়োজন।” পিটিয়ে খুনের ঘটনায় রাত পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।