Snake: সাপে কামড় খাওয়ার পর সোজা সাপ নিয়ে হাসপাতালে বৃদ্ধা
Hooghly: আজ তাঁকে বিষধর সাপে কামরায়। নারকেল গাছের বাকল পরিস্কার করার সময় তার বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে ছোবল মারে একটি সাপ।
হুগলি: মাত্র দু’মাস আগের ঘটনা। পাণ্ডুয়া ব্লকের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে সাপে কামড়ায়। হাসপাতালের চিকিৎসায় ভরসা না রেখে ওই নাবালিকার বাড়ির সদস্যরা ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে যায় ওঝার কাছে। অকালে প্রাণ চলে যায় মেয়েটির। সেই সময় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সচেতনার অভাব রয়েছে এখনও বলে প্রচার শুরু হয়।
তবে এবার আর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল না। বৃদ্ধাকে সাপে কামড়ানোর পর সোজা তিনি সাপ নিয়ে চলে গেলেন হাসপাতালে। ‘সচেতনতা ফিরছে’ বলছে ব্লক প্রশাসন।
পান্ডুয়ার বৈঁচি রায়পাড়ার বছর ষাটেকের বাসিন্দা রেনু রায়। আজ তাঁকে বিষধর সাপে কামরায়। নারকেল গাছের বাকল পরিস্কার করার সময় তার বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে ছোবল মারে একটি সাপ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় বৈঁচি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পৌঢ়াকে। চিকিৎসা শুরু হওয়ায় পর জানা যায় সুস্থই আছেন বৃদ্ধা। শুধু তাই নয় বৃদ্ধার পরিবার সাপটিকে বস্তায় ভরে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারদের দেখায়।
পান্ডুয়া হাসোতালের বিএমওএইচ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ” সাপে কামড়ানোর পর প্রথমে সবাই ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক করাতে যায়। যার কারণে অনেকের অবস্থা খারাপ হয়েছে। মৃত্যুও হয়েছে অধিকাংশে। তবে এখন সচেতনতা শিবির করা হয়েছে। মানুষেদের মধ্যে প্রচার বাড়ানো হয়েছে। এখন জনগণ এতটাই সচেতন হয়েছে যে সাপ ধরে নিয়ে চলে আসছে। এই সচেতনতা শিবির ফলপ্রসী হয়েছে। আগামীদিনে সচেতনতা বাড়াতে লাগাতার চলবে প্রচার।”
সাপের কামড়় নিয়ে কম কুসংস্কারের গল্প নেই।শুধু এই রাজ্যেই নয় দেশের একাধিক রাজ্যে এখনও সাপে কামড়ানো নিয়ে জারি রয়েছে অন্ধবিশ্বাস। রাখি বন্ধনের দিন দু’জোড়া সাপকে রাখি পড়াতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন যুবক। ঘটনাটি ছিল বিহারের। পেশায় সাপুড়ে ছিলেন মনমোহন। রাখি বন্ধন উৎসবের দিন বোনকে ওই সাপদের রাখি পড়াতে বলেন। শেষ অবধি নিজেই প্রাণ হারালেন সাপের কাছে। একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োতে দেখা যায় মনমোহন নামক ওই সাপুড়ে লেজ ধরে সাপেদের সাথে রাখির আচার অনুষ্ঠান পালন করছেন। পাশে তার মা ও বোন দাঁড়িয়ে তাঁর হাতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিচ্ছে। এর মাঝেই যখন ব্যস্ত হয়ে তিনি ওপরের দিকে তাকান, তখনই একটি সাপ তার পায়ে কামড়ে দেয়। যখন ওই সাপুড়ে বোনকে দিয়ে সাপকে রাখি পড়ানো আচার অনুষ্ঠান করছিলেন তখন বেশ ভিড় করে দাঁড়িয়েছিল গ্রামবাসী। তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যস্ত ছিলেন ওই কর্মকাণ্ডের ভিডিয়ো ও ছবি তুলতে।চিকিৎসার জন্য মনমোহনকে সারণ জেলার একমার নিকটতম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ভাগ্যবশত, একমার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যান্টি-ভেনম ইনজেকশন ছিল না। এরপর মনমোহনকে চাপড়ার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই বিষ তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। সদর হাসপাতালে পৌঁছালে ওখানের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন : Bhawanipore By-Election: অবশেষে স্বস্তি রাজ্যের, ভবানীপুরে ভোট হচ্ছেই; জানিয়ে দিল হাইকোর্ট