SSRB বোর্ডের নির্দেশের পরও বন্দিকে মুক্তি না দেওয়ার অভিযোগ জেলের বিরুদ্ধে
hooghly: ২০০৬ সালে কাকিমাকে রাগের বশে খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছিলেন হুগলি পুরশুড়ার বাসিন্দা সমীর। পেশায় দিন মজুর ছিলেন তিনি। কুড়ি বছর জেল বন্দি ছিলেন ওই ব্যক্তি।

হুগলি: স্টেট সেনটেন্স রিভিউ বোর্ডের (SSRB) নির্দেশ দিয়েছিল বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারপরও তাঁকে মুক্তি না দেওয়ার অভিযোগ। শেষে কলকাতা হাইকোর্ট আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করতেই নড়ল টনক। হুগলি জেল থেকে মুক্তি পেলেন আসামী সমীর দাস।
২০০৬ সালে কাকিমাকে রাগের বশে খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছিলেন হুগলি পুরশুড়ার বাসিন্দা সমীর। পেশায় দিন মজুর ছিলেন তিনি। কুড়ি বছর জেল বন্দি ছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে সংশোধনাগারে ভাল আচরণের জন্য এক বছর আগে তাঁকে মুক্তি দিতে বলে স্টেট সেনটেন্স রিভিউ বোর্ড। তা সত্ত্বেও তাঁর জেল মুক্তি ঘটেনি।
বিচার বিভাগীয় দফতরের নির্দেশ কার্যকরী না করায় হাইকোর্টের দারস্থ হন সমীর দাস। আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। সেই মামলার আগামী ২৭ তারিখে ছিল শুনানি। তার তিন দিন আগেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুগলি জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় সমীর দাসকে।
আইনজীবী সম্পূর্ণা ঘোষ বলেন, “এক বছর আগে স্টেট সেন্টেন্স রিভিউ বোর্ড মুক্তির নির্দেশ দিলেও ছাড়া হয়নি আমার মক্কেলকে। সেই কারণে হাইকোর্টে মামলা করি।বিচারক মামলা গ্রহণ করেন গত ১৩ তারিখ। আজ তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এরকম বহু কয়েদী আছেন যাঁরা মুক্তি পাচ্ছেন না। তাঁদের জন্য লড়াই চলবে।”
সমীর দাস জানান, “আমার নিজের পরিবার নেই। বাড়িতে ভাই আছে। সেখানে আমি যাব। এতদিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ভাল লাগছে।”

