Bhabadighi: একদিনেই থমকে গেল ভাবাদিঘিতে রেলের কাজ, কী হবে এরপর?
Agitation in Bhabadighi: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এত বছর পর এই রেল প্রজেক্টের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শুরু হয় কাজ। তারপরই এদিন বাধা দেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, রেল, রাজ্য ও ভাবাদিঘি আন্দোলনকারীদের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি।

ভাবাদিঘি: ২৪ বছর আগে শিলান্যাস হয়েছিল। এতদিন পর কাজ শুরু হওয়ার আশা জেগেছিল। কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, তার জন্য পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। তারপরও হুগলির গোঘাটের ভাবাদিঘিতে থমকে গেল রেলের প্রকল্পের কাজ। দিঘির দিকে কাজ এগোতেই গ্রাম থেকে রে রে করে বেরিয়ে এলেন ভাবাদিঘির বাসিন্দারা। যার জেরে রেলের লোকজন এলাকা ছাড়েন। ভাবাদিঘিতে বন্ধ হয়ে গেল রেললাইন নির্মাণের কাজ।
২০০১ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারকেশ্বর-বিষ্ণপুর রেলপ্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। হয় শিলান্যাসও। এই রেল প্রকল্প চালু হলে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সঙ্গে হাওড়ার দূরত্ব অনেকটাই কমবে। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ধাপে ধাপে শুরু হয় রেল প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ ও পরবর্তীতে মাটি ফেলার কাজ।
রেলের কাজ বাধা পড়ল ভাবাদিঘিতে এসে। কারণ এই দিঘির উপর নির্ভর করে আশপাশের অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা চলে। তাঁরা কোনওভাবেই দিঘি বুজিয়ে ট্রেন চালানোর পক্ষপাতী নন। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দিঘির উপর ব্রিজ তৈরি হবে। তারপর চলবে ট্রেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের স্পষ্ট নির্দেশ, আড়াই লক্ষ মানুষের স্বার্থে আঘাত দেওয়া যাবে না। আদালতের নির্দেশ মেনে এত বছর পর এই রেল প্রজেক্টের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
হাইকোর্টের নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শুরু হয় কাজ। তারপরই এদিন বাধা দেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, রেল, রাজ্য ও ভাবাদিঘি আন্দোলনকারীদের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি। তারপরও কেন রেল দিঘির দিকে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে? যদিও ক্যামেরার সামনে কোনও আন্দোলনকারী মুখ খুলছেন না। গতকাল ভাবাদিঘিতে রেললাইনে মাটি পড়লেও এদিন বিকালেই কাজ বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। প্রশ্ন উঠছে, ভাবাদিঘিতে রেলের কাজ কি ফের থমকে যাবে?
