AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Arambagh: কবর খুঁড়ে তোলা হল সদ্যোজাতর দেহ, মা বলছেন ‘এই সন্তান আমার নয়…’

Arambagh: অভিযোগ সামনে আসে বুধবার। হুগলির তারকেশ্বরের বালিগোড়ির বাসিন্দা জাসমিনা বেগমকে জানানো হয় তাঁর সদ্যজাত সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, ওই দিনই সন্ধ্যায় আবার ফোন করে বলা হয় শিশু বেঁচে আছে। এতেই পরিবারের সন্দেহ বাড়ে।

Arambagh: কবর খুঁড়ে তোলা হল সদ্যোজাতর দেহ, মা বলছেন 'এই সন্তান আমার নয়...'
কবর থেকে তোলা হল দেহImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2025 | 8:49 AM
Share

আরামবাগ: শিশু চুরির অভিযোগে উত্তাল আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ। ভুল পরিবারের হাতে মৃত শিশুর দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই স্বীকার করে নিয়েছে খোদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সংশয় মিটছে না। কার সন্তান বেঁচে আছে, কার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে সেই ধোঁয়াশা কাটাতে কবর খুঁড়ে তোলা হল মৃত শিশুর দেহ। TV9 বাংলার খবরের জেরে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।

ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাটি খুঁড়ে মৃত শিশুর দেহ তুলেছে পুলিশ। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী আরামবাগের বড়ডোঙ্গলের বসন্তবাটি এলাকায় কবর থেকে দেহ বের করে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ তুলে হাসপাতালে সংরক্ষিত করা হয়েছে।

অভিযোগ সামনে আসে বুধবার। হুগলির তারকেশ্বরের বালিগোড়ির বাসিন্দা জাসমিনা বেগমকে জানানো হয় তাঁর সদ্যজাত সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, ওই দিনই সন্ধ্যায় আবার ফোন করে বলা হয় শিশু বেঁচে আছে। এতেই পরিবারের সন্দেহ বাড়ে। পরে খোঁজ নিলে হাসপাতাল জানায়, জাসমিনার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে কিন্তু সেই সন্তানের দেহ ভুল করে তুলে দেওয়া হয়েছে অন্য পরিবারের হাতে। আরামবাগের বড়ডোঙ্গলের সেই পরিবার ততক্ষণে শিশুকে কবরও দিয়ে দিয়েছে। এদিকে, হাসপাতালের দাবি, বড়ডোঙ্গলের ওই পরিবারের সন্তান বেঁচে আছে, বর্তমানে হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগে চিকিৎসাধীন।

তারকেশ্বরের বালিগোড়ির পরিবারের দাবি, মৃত সন্তান তাদের নয়। জাসমিনারা বলছেন, মৃত সন্তানকে কোনওভাবেই নিজেদের বলে মেনে নেবেন না তাঁরা। জীবিত শিশুকে নিয়ে এসে মিলিয়ে দেখার পরই তাঁরা বিশ্বাস করবেন। ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানানো হয়েছে।

এদিকে, ভুলের কথা আগেই স্বীকার করে নিয়েছেন আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. রমাপ্রসাদ রায়। তিনি বলেন, “SNCU-কে ভর্তি ছিল বাচ্চা। তার মৃত্যু হয়েছিল। তার ওজন ছিল দেড় কেজি। যখন নাম ধরে ডাকা হয়েছিল বাড়ির লোককে, তখন একজন আসেন এবং তাঁকে আমরা মৃত বাচ্চাকে দিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু তথ্যটা যাচাই করা হয়নি।”