Drinking Water Problem: জঙ্গল আগে না কল আগে? করুণ ‘ছবি’ আরামবাগে, তৃণমূল নেতা বলছেন, ‘আমি ব্যর্থ’
Hooghly: স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে জলের সংযোগ দেওয়া হয়নি এই এলাকায়। তারপর আবার মাত্র দু'একটা টিউব ওয়েল থাকলেও তাও বেশির ভাগ খারাপ হয়ে পড়ে থাকে।
আরামবাগ: কল আছে। কিন্তু তা থেকে জল পড়ে না। আর এই সমস্যা আজকের নয়। দীর্ঘদিনের। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে এইভাবেই পড়ে রয়েছে অকেজো ট্যাপ কলগুলি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে জলের সংযোগ দেওয়া হয়নি এই এলাকায়। তারপর আবার মাত্র দু’একটা টিউব ওয়েল থাকলেও তাও বেশির ভাগ খারাপ হয়ে পড়ে থাকে। কোনও রকমে সারিয়ে চলছে জলের জোগান। জলের তীব্র কষ্টে তাই বাধ্য হয়েই পুকুরের জলের ওপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। দূর-দূরান্ত থেকে অথবা লম্বা লাইন দিয়ে পানীয় জল আনতে হচ্ছে মানুষদের। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও সদস্যরা বারংবার আবেদন জানিয়েছেন দফতরে। তবে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তার ক্ষোভ,আমাকেই কথা শুনতে হচ্ছে এলাকার মানুষ জনের কাছে।বার বার বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ কোন গ্রাহ্যই করছেন না।
আরামবাগের মায়াপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়বাড়ি ও ডিহিবায়রা এলাকার। এই এলাকায় প্রচুর মানুষের বসবাস। তাই জলের সমস্যা পঞ্চায়েতে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। ফলত, ব্যাপক ক্ষোভ জন্মেছে এলাকায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘দীর্ঘ দিন ধরে তীব্র জল কষ্টে রয়েছি আমরা। পিএইচই প্রকল্পে বাড়ি জল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মত ট্যাপ কল লাগিয়ে দেওয়া হয়। এটা ঠিকই। কিন্তু কোনও অজানা কারণে এখনও বাড়ি-বাড়ি জলের সংযোগ দেওয়া হয়নি।’এলাকার এক তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ সমরেশ পন্ডিতও।তিনিও বলেন, ‘আমি বলে বলে হয়রান হয়ে গিয়েছি। আমি ব্যর্থ। এখানকার মানুষ জন আমাকেই দায়ী করছেন। আমাকেই দোষারোপ করছেন। কিন্তু আমি শতবার চেষ্টা করেছি। আমি নিরুপায়। আমি আবারও জানাবো। যাতে মানুষের এই দুর্ভোগ কমে।’