AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Durga Puja 2024: বন্যা কেড়েছে ওঁদের সবকিছু, তাই পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঢাকের তালিম নিচ্ছেন মহিলারা

Arambag: প্রবল বন্যা হয়েছে এবার। শরতের কাশফুল বন্যার জলে ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে যদি বায়না জোটে তাহলে বাড়তি রোজগার হয়। তাই স্বামীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঢাকের তালিম নিচ্ছেন ওঁরা। এলাকারই তাঁদের গুরু দিলীপ দাসের কাছে তাঁরা ঢাকের তালিম নিচ্ছেন।

Durga Puja 2024: বন্যা কেড়েছে ওঁদের সবকিছু, তাই পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঢাকের তালিম নিচ্ছেন মহিলারা
ঢাক বাজাচ্ছেন মহিলা ঢাকিরাImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 04, 2024 | 8:20 PM
Share

আরামবাগ: এই চারটে দিন ওঁদের একটু বাড়তি রোজগার হয়। তাই পুজোর দিনগুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকেন ঢাকিরা। বায়না এলে ওঁদের মুখে ফোটে হাসি। তবে শুধু পুরুষ নয়। তাঁদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন মহিলারাও। সংসার টানতে শুধুমাত্র স্বামীর উপর ভরসা না করে এবার ঢাকের তালিম নিচ্ছেন আরামবাগের বলরামপুরের দাস পাড়ার গৃহবধূরা। তাঁরা বলছেন, ‘মেয়ের হাতে ঢাকের বোলেই ধুনুচি নাচ হবে মায়ের পুজোয়।’

প্রবল বন্যা হয়েছে এবার। শরতের কাশফুল বন্যার জলে ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে যদি বায়না জোটে তাহলে বাড়তি রোজগার হয়। তাই স্বামীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঢাকের তালিম নিচ্ছেন ওঁরা। এলাকারই তাঁদের গুরু দিলীপ দাসের কাছে তাঁরা ঢাকের তালিম নিচ্ছেন। যদিও, নানা সামাজিক সমালোচনা ও গুঞ্জনের মধ্যে পড়তে হয়েছে এই মহিলাদের। কিন্তু সব কিছু দূরে ঠেলে রেখে এগিয়ে চলেছেন তাঁরা।

আনুষ্ঠানিকভাবে ৪ অক্টোবর থেকে ঢাক বাজানো চালু করেছেন তাঁরা। শুধু ঢাকের কাঠিই নয়, ঢাক বাজানোর সময় মহিলারা কলসি ও ঢাক নিয়ে নানান ছন্দে নানান ভঙ্গিমায় নৃত্য পরিবেশন করে দর্শকদের মনোরঞ্জন করলেন।

এলাকার গৃহবধূ সোনালী দাস সহ অন্যান্য মহিলা বাজনদার নানা দুঃখ সহ্য করেও মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে মণ্ডপে-মণ্ডপে যাচ্ছেন। তবে বন্যার জন্য আরামবাগ মহকুমার এখনও বহু জায়গা জলমগ্ন। বিশেষত খানাকুল। তাই একাধিক বায়না বাতিলও হয়েছে। ঘাটাল থেকে বায়না করা হলেও সেখানেও সেই বায়না নামা বাতিল হয়েছে। তাই তাদের মন ভার।

মহিলারা পরিবারের সহযোগিতার জন্য স্বামীর সাথে সমান তালে সংসারের দায় ভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাই হাসি,কান্না,সুখ দুঃখকে সাথী করেই জীবনের জয়গান গেয়েই আনন্দ দানে অঙ্গীকারবদ্ধ। তারাই আজ নারীশক্তির পূর্ণ রূপ।

তবে, আরজি কর কাণ্ডকে তারা ভুলতে পারছেন না। মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েইও তাঁদের প্রশ্ন। তাঁরাও তো সেই প্রশ্নেরই মুখোমুখি হচ্ছেন। যতই হোক মহিলা তো…। তাই তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে পরিবারের লোকজনও চিন্তিত। মহিলা ঢাকি সোনালী দাস বলেন, “আমাদের অনেকগুলি বায়না এসেছে। ঘাটালের দিকেও এসেছে। তবে পরিস্থিতি ভাল না। কয়েকটা বাদ যাচ্ছে। পরিবার সামলে একটু কষ্ট হয় তলে সংসার চালাতে একটু কষ্ট করতেই হয়।”