হুগলি: বর্ষা এখনও আসেনি। কিন্তু তার আগেই গঙ্গার চোখ রাঙানি শুরু। যে কোনও সময় নদীর গ্রাসে চলে যেতে পারে একমাত্র শ্মশান, তার প্রতীক্ষালয় ও তৎসংলগ্ন পার্ক এমনটাই মনে করা হয়েছে। তড়িঘড়ি কাজ শুরু গ্রাম পঞ্চায়েতের।
বলাগড় ব্লকের গুপ্তিপাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফেরিঘাট সংলগ্ন শ্মশান ঘাট। মাত্র পাঁচ বছর আগে নতুন করে তৈরি হয়েছে সেটি। তৎকালীন বলাগর বিধায়ক অসীম মাঝির এলাকা উন্নয়ন তহবিল ও গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ১৩ লাখ টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল এই শ্মশান। পাশাপাশি শ্মশানে যাত্রী প্রতিক্ষালয় তৈরি হয়। পাশপাশি পার্ক তৈরির কাজও সম্পন্ন হয়। তিন বছর আগে ঘাটে শাল বল্লার পাইলিং করা হয়। ১৯৯৭ সালে একবার পাকা পোক্ত ভাবে বাঁধানো হয়েছিল গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট।এতদিন ঠিকই ছিল।
গত আড়াই মাস ধরে হঠাৎ করে ভাঙতে শুরু করে গুপ্তিপাড়ার গঙ্গার এই পাড়। দেড়শো মিটার শাল বল্লার পাইলিং প্রায় সবটাই ভেঙে তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গায়। শ্মশান ঘাটেও যে কোনও সময় ছুঁয়ে নেবে গঙ্গা।
গুপ্তিপাড়া-২ পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, “ভাঙনের বিষয়টি ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন ও সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে। কবে আর্থিক সহায়তা মিলবে তার জন্য অপেক্ষা না করে পঞ্চায়েত নিজস্ব তহবিল থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে ভাঙন রুখতে কাজ শুরু করেছে। প্রায় তিন হাজার বস্তা বালি, দুশো ট্র্যাক্টর ইট, দুশোটি বাঁশের খাঁচা তৈরি করে জলে ফেলা হচ্ছে। বিশ্বজিৎ বাবু আরও বলেন, “ভাঙন আটকাতে পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে জানানো হয়েছিল। এক দিনের কাজের প্রকল্প থেকে অথবা আরআইডওএফ এর মাধ্যমে কাজ করলে ভাঙন রোখা যাবে। আপাতত পঞ্চায়েত চেষ্টা চালাচ্ছে তবে আরও বড় সহযোগিতা প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: ‘দুই গোষ্ঠীর লড়াই, এর দায় তৃণমূলের কেন হবে?’ বগটুইকাণ্ডে প্রশ্ন ফিরহাদের