Imam bhata: দেড় হাজার নয়, ২০ হাজার টাকা ভাতা চাইছেন বাংলার মোয়াজ্জেমরা, একই সুর পুরোহিতদেরও
Purohit Bhata: পশ্চিম মেদিনীপুরের ইমাম-মোয়াজ্জেমদের মুখেও একই সুর। ইমাম শেখ সাজু বলেন, "নেতাজি ইন্ডোরে ডেকে আমাদের হতাশ করা হয়। হইহই ডেকে মাত্র ৫০০ টাকা ভাতা বাড়ানো হয়।" তবে শুধু ভাতা নয়, দাবি রয়েছে আরও। ইমাম আব্দুল মুত্তালি বলেন, "শুনেছিলাম ইমাম-মোয়াজ্জেমদের খরচার বিষয়ও কিছু একটা দেওয়া হবে। সেটাও পাইনি। শুনেছিলাম বাড়ি দেবে। তাও দেয়নি।"
ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকি বলেন, “কেজরীবাল ভাল কাজ করেছেন। বাংলায় এটা হবে না কেন? এখানে পুরোহিতরা আছেন, ইমাম, মোয়াজ্জেমরা আছেন। এখানেও ভাতা বাড়ানো উচিত। আমাদের বলার আগেই তো এই ভাতা বাড়ানো উচিত ছিল। এখন এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে কীভাবে চলবে? তাই আমি আশা করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোহিত ভাতা, ইমাম ভাতা,মোয়াজ্জেম ভাতা বাড়াবেন। আমি দাবি করছি এই ভাতা বাড়ানো হোক।”
তিনি আরও বলেন, “এখানে কেউ কোনও কথা বলছেন কি না উনি দেখছেন। চুপ করে থাকলে আর বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া না করা হয় তাহলে আর দিতে হবে না। আমরা বলব বাংলার সকল মানুষ মুখ খুলুন।” অপরদিকে নাখোদা মসজিদের ইমাম মৌলানা শফিক কাজমি বলেন, “আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি ইমামদের যদি কুড়ি হাজার টাকা দেওয়া যায় তাহলে ভাল হতো। একটু ভাল সাহায্য পেত।”
এখন কত ভাতা দেয় রাজ্য সরকার?
তৃণমূল সরকার প্রতিমাসে ইমামদের তিন হাজার টাকা, মোয়াজ্জেমদের দেড় হাজার টাকা ও পুরোহিতদেও দেড় হাজার টাকা দেয়। এই ভাতাই বাড়ানোর দাবি তুলে সবাইকে একাট্টা হতে বলেছেন ইব্রাহিম সিদ্দিকি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ইমাম-মোয়াজ্জেমদের মুখেও একই সুর। ইমাম শেখ সাজু বলেন, “নেতাজি ইন্ডোরে ডেকে আমাদের হতাশ করা হয়। হইহই ডেকে মাত্র ৫০০ টাকা ভাতা বাড়ানো হয়।” তবে শুধু ভাতা নয়, দাবি রয়েছে আরও। ইমাম আব্দুল মুত্তালি বলেন, “শুনেছিলাম ইমাম-মোয়াজ্জেমদের খরচার বিষয়ও কিছু একটা দেওয়া হবে। সেটাও পাইনি। শুনেছিলাম বাড়ি দেবে। তাও দেয়নি।”
পুরোহিতরা কী বলছেন?
পুরোহিত দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “দিল্লির পুরোহিত আলাদা আর বাংলার পুরোহিত আলাদা এটা নয়। সকলেই যেন এক ভাবে টাকা পায়। এখনও সকলে ভাতা পান না। যেটা আমরা পাই তাতে সংসার চলে না।”