AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bus Strike: ১৫ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট শুরু হয়ে গেল এই রুটে, চাপ বাড়ছে যাত্রীদের

Bus Strike in Arambagh: ঘুরপথে যাতায়াতের ফলে নিত্যযাত্রীদের খরচও দ্বিগুণ হয়েছে। গোটা এলাকাতেই যেমন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে তেমনি আরামবাগ শহরে ব্যবসায়ীদের পকেটেও চাপ পড়েছে। জল ধীরে ধীরে মাথার উপর উঠতেই শেষ পর্যন্ত ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছেন বাস মালিকরা।

Bus Strike: ১৫ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট শুরু হয়ে গেল এই রুটে, চাপ বাড়ছে যাত্রীদের
চাপ বাড়ছে যাত্রীদের Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 15, 2025 | 10:08 AM
Share

আরামবাগ: আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। পোস্টারও পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১৫ অক্টোবরেক সকাল থেকেই আরামবাগ মহকুমায় বন্ধ হয়ে গেল বাস চলাচল। সব ক’টি বাস অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবেই একই সিদ্ধান্তের পথে। তাঁদের সাফ কথা, রামকৃষ্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ থাকায় তাদের চূড়ান্ত ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এইভাবে লোকসানের মুখে পড়ে বাস চালান কোনওভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণেই ১৫ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস বন্ধের কথা জানান হয়েছিল। 

এদিকে সকাল থেকেই আরামবাগের নানা প্রান্তে অপেক্ষারত যাত্রীদের ভিড় চোখে পড়ল। যদিও বাস মালিক থেকে চালকরা বলছেন তাঁরা আগাম যাত্রীদের  কাছে সহযোগিতার আবেদন করেছিলেন। একইসঙ্গে ক্ষোভের সঙ্গেই তাঁরা বলছেন, প্রায় দু’মাস অতিক্রান্ত হলেও সেতুর মেরামতি হয়নি। উল্টে রামকৃষ্ণ সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী বাস ও ভারী যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। বাস চালকদের দাবি, এর ফলে প্রায় ৪০ কিলোমিটার ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের। একই অবস্থায় পড়তে হচ্ছে দূরপাল্লার বাসগুলিকেও। আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন এক্সপ্রেস ও লোকালবাস আরামবাগ বাস টার্মিনাসে ঢুকতে পারেনি।

অন্যদিকে ঘুরপথে যাতায়াতের ফলে নিত্যযাত্রীদের খরচও দ্বিগুণ হয়েছে। গোটা এলাকাতেই যেমন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে তেমনি আরামবাগ শহরে ব্যবসায়ীদের পকেটেও চাপ পড়েছে। জল ধীরে ধীরে মাথার উপর উঠতেই শেষ পর্যন্ত ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছেন বাস মালিকরা। আরামবাগ শহর ছাড়াও আরামবাগ মহকুমা জুড়ে কোথাও কোন যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে না। আপাতত বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প ও বিভিন্ন রাস্তার ধারে বাসগুলিকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। 

বাস মালিক সংগঠনের দাবি, রামকৃষ্ণ সেতুতে হাইট বার খুলে দেওয়া হলেই সব রুটের বাস চলবে। বাইরের জেলা গুলি থেকেও বাস আসবে না। তাদের আরও দাবি, পিডব্লিউডি-এর নির্দেশ মত ১০ টনের বেশি ভারী যান চলবে না। অথচ বাসভর্তি যাত্রী থাকলেও তা ১০ টন হবে না। তাই কেন বাস চলার অনুমতি দেওয়া হবে না সেই প্রশ্ন বারবার তুলছেন তাঁরা।