Indian Army Died: ডিউটির সময় আচমকা সহকর্মীর গুলি, লুটিয়ে পড়লেন আরামবাগের সেনা জওয়ান

Indian Army Died: রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ গৌরীশঙ্কর ও তাঁর ৩ সহকর্মী ডিউটিতে ছিলেন তখনই ঘটে এ ঘটনা। আচমকা নিজের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালায় এক জওয়ান।

Indian Army Died: ডিউটির সময় আচমকা সহকর্মীর গুলি, লুটিয়ে পড়লেন আরামবাগের সেনা জওয়ান
শোকের ছায়া গোটা পরিবারে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2022 | 7:17 PM

আরামবাগ: সতীর্থর গুলিতে মৃত্যু হল দুই জওয়ানের। ঘটনাটি পঞ্জাবের (Punjab) পাঠানকোটের মীরথল এলাকার। তবে কেন গুলি চালিয়েছিলেন ওই সতীর্থ তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। দুই মৃত জওয়ানের মধ্যে একজনের বাড়ি হুগলির আরামবাগ (Arambagh) পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্ভয়পুরে। মৃত ওই জওয়ানের নাম গৌরীশঙ্কর হাটি(৩৬)। তাঁর বাড়িতে বাবা-মা সহ স্ত্রী রয়েছে। রয়েছে ১০ বছরের এক পুত্র সহ ১ বছরের শিশুকন্যা। বাবার আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়েও ঘনাচ্ছে উদ্বেগের মেঘ। 

পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ গৌরীশঙ্কর ও তাঁর ৩ সহকর্মী ডিউটিতে ছিলেন তখনই ঘটে এ ঘটনা। আচমকা নিজের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালায় এক জওয়ান। গুলি লাগে গৌরীশঙ্কর সহ আরও একজন জওয়ানের শরীরে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই দু’জন জওয়ানকে পাঠানকোটের সেনা হাসপাতলে। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ২ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তবে, যে সহকর্মী গুলি চালিয়েছেন তাঁকে ইতিমধ্যেই কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি, কেন তিনি আচমকা গুলি চালিয়েছিলেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এমনকী মানসিক অবসাদ থেকেই তিনি এই কাণ্ড ঘটেছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

সূত্রের খবর, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সেনা বাহিনীতে কাজ করছিলেন গৌরীশঙ্কর। তাঁর আচমকা মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকায়। শোকে বিহ্বল গোটা পরিবার। কান্নায় ভেঙে পড়েছে মা-বাবা। জওয়ানের সঙ্গেই তাঁর স্ত্রী সন্তানরা তাঁর কোয়ার্টারেই থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বুধবারই মৃত জওয়ানের দেহ আনা হবে তাঁর গ্রামের বাড়িতে। তবে এই বিষয়ে আরামবাগ থানা বা মহকুমা আধিকারিকের দফতরে কোনও তথ্য এখনও আসেনি বলেই জানা গিয়েছে। ছেলের মৃত্যুতে শোকাতুর কণ্ঠে ওই জওয়ানের মা রমা হাটি বলেন, ”ছত্তিসগঢ়ের এক জওয়ান ছিল সেই সকলকে একবারে মারতে চেয়েছিল বলে শুনেছি। তিনজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তার মধ্যে ২ জন শেষ। তার মধ্যে আমার ছেলেও আছে। আডজ ১৭ বছর ৬ মাস চাকরি করছিল ও। কোনও ঝামালেতেও জড়ায়নি কোনওদিন। আজ ওর এই পরিণতি হল।”