Job Card: কাজ করেও জব কার্ডে মিলছে না টাকা, কেন্দ্র-রাজ্য উভয়কে দুষল সিপিএম
Hooghly: প্রায় চার মাস ধরে একশো দিনের জব কার্ডের টাকা পাচ্ছেন না শতাধিক গ্রামীণ মানুষজন। এই নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিকে আক্রমণ করল সিপিএম।
আরামবাগ: কেটে গিয়েছে চারটি মাস। তারপরও জব কার্ডের টাকা পাচ্ছেন না বহু কর্মী। অন্তত এমনই অভিযোগ! প্রায় চার মাস ধরে একশো দিনের জব কার্ডের টাকা পাচ্ছেন না শতাধিক গ্রামীণ মানুষজন। এদিকে, জব কার্ডের কাজ কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পঞ্চায়েতের টাকা এলেই দেওয়া হবে। দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের। অন্যদিকে, একশো দিনের কাজ নিয়ে শাসকদল অর্থাৎ যাঁরা পঞ্চায়েতে রয়েছেন তাঁরা ছেলেখেলা করছেন এমনই মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের। আর সিপিএম নিশানা করেছে বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলকেই। তাদের দাবি, নির্দিষ্ট প্রজেক্ট অনুযায়ী নীতি ধরে কাজ হচ্ছে না বলেই পেমেন্ট আটকে যাচ্ছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
হুগলির গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানেই একশো দিনের জব কার্ডে কাজ করে মিলছে না মজুরি। সুপারভাইজাররাও পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ জব কার্ড হোল্ডার ও সুপারভাইজারদের। একের পর এক নতুন কাজ করে মিলছে না পারিশ্রমিক। বারবার পঞ্চায়েত , বিডিও অফিসে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে তর্ক বিতর্ক।
ঘটনার বিষয়ে গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারকের দাবি, শাসক দল একশো দিনের কাজ নিয়ে ছেলেখেলা করছে। কাজ না করেও অনেক গ্রামবাসী যারা তৃণমূলে সঙ্গে যুক্ত, তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। যেখানে দশজন লোকের কাজ সেখানে পঞ্চাশ জন লোকে কাজ করছে। টাকা আত্মসাৎ করছে। বেনিয়ম হচ্ছে বলেই টাকাটা আসছে না। বা যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা টাকা পাচ্ছেন না।
সিপিএম হুগলি জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ভাস্কর রায় বলেন, “নির্দিষ্ট প্রজেক্ট অনুযায়ী নীতি ধরে কাজ হচ্ছে না বলেই টাকা মিলছে না। যখনই ভেরিফিকেশন হচ্ছে সমস্যা দেখলেই টাকা আটকে যাচ্ছে। প্রধান যেটা বলছে সেটা ঠিক নয়। নীতি না মেনে কাজ হচ্ছে না বলেই টাকা আটকে যাচ্ছে। বিধায়কের কথা কিছুটা হলেও সত্য। খামতিটা রাজ্য সরকারের। যারা কাজ করছে না খাতায়-কলমে জব কার্ডের টাকা তাদের উঠে গিয়েছে। তদন্ত হলেই সব বেরিয়ে যাবে।
যদিও, গোঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনীষা সেন বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিলেই দেওয়া হবে।” একশো দিনের কাজের জব কার্ডের টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। আর সুপারভাইজারদের টাকা মেটায় রাজ্য সরকার। সুপারভাইজারদের দাবি প্রায় এক বছর তাঁরা পারিশ্রমিক পাননি।
আরও পড়ুন: BJP Chaos: ‘টাকার বিনিময়ে পদ মিলছে’, বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে জেলা কমিটিতে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের