Murder Case in Hooghly: সাত বছরের প্রেম, সেই প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে ‘খুন’ করালেন স্ত্রী
Murder Case in Hooghly: সম্পর্কের কথা জেরায় স্বীকার করেছেন স্ত্রী। স্থানীয়দের দাবি অনেক দিন ধরেই বেচারামের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল চাঁপার।
ধনেখালি : স্বামীকে খুনের ঘটনায় স্ত্রীকে গ্রেফতার করল ধনেখালি থানার পুলিশ। সাত বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত স্ত্রী-র। প্রথম থেকেই এই ঘটনায় স্ত্রী চাঁপার দিকেই ছিল সন্দেহের তির। সোমবারই তাঁকে গ্রেফতার করা হল। সনাতন মাল নামে ওই ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় স্ত্রীর প্রেমিকই সহযোগিতা করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে বেচারাম মালিক নামে চাঁপার ওই প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে আগেই। আর এবার জেরায় সব স্বীকার করে নিয়েছেন চাঁপা।
গত ২৮ এপ্রিল এই খুনের ঘটনা ঘটে। হুগলির ধনেখালির ভান্ডারহাটি দেউলপাড়ায় খুন হন সনাতন মাল। পরের দিন ওই এলাকারই একটি কুয়ো থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে বেচারাম মালিককে গ্রেফতার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেচারামের সঙ্গে গত সাত বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল চাঁপার। চাঁপার নিজেও সে কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন চাঁপা। পুলিশের অনুমান, প্রেমিক বেচারামকে সঙ্গে নিয়ে এই পরিকল্পনাকে সার্থক করেন তিনি। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে দিন খুন করা হয় সনাতন মালকে সে দিন সকালে চাঁপাকে বাসে তুলে জাঙ্গীপাড়া পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বেচারাম। তারপর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মদ খাইয়ে মাথায় হাতুড়ি মেরে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে দেহ ফেলে রাখেন ঘরে। রাত বাড়লে বস্তায় ভরে কুয়োয় ফেলে দিয়ে আসা হয় দেহ। খুন করার পর বেচারাম চাঁপাকে ফোন করে জানান। চাঁপা কাউকে কিছু না জানিয়ে চুপ করে থাকেন। পরে পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়ে সব স্বীকার করে নেন তিনি। বেচারাম মালিককে সাতদিনের হেফাজতে নিয়ে খুনে ব্যবহৃত সামগ্রী উদ্ধার করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।