Chandanagar Left Front: ৩২ বছর পর উড়ল লাল আবির, তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বামেরা

Hooghly: গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চন্দননগর পুরনিগমের ৩২ টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় একামাত্র ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন বাম প্রার্থী অভিজিৎ সেন।

Chandanagar Left Front: ৩২ বছর পর উড়ল লাল আবির, তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বামেরা
চন্দননগরে জয়ী বামফ্রন্ট (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2022 | 12:33 PM

চন্দননগর: চন্দননগরের আকাশে-বাতাসে এখন একটাই রঙ। লাল। কারণ সেখানে অকাল হোলিতে মেতেছেন বাম-কর্মী সমর্থকরা। পুরনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস এখন সেখানকার বাম-কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। চন্দননগর পুরনিগমের আরও একটি ওয়ার্ড নিজেদের দখলে রাখল বামফ্রন্ট। তৃণমূলকে জোর টক্কর দিয়ে শেষমেশ লড়াইয়ের ময়দান নিজের নামে করলেন সিপিএম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩০ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চন্দননগর পুরনিগমের ৩২ টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় একামাত্র ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন বাম প্রার্থী অভিজিৎ সেন। অপরদিকে, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়ন দাখিলের পরেই মৃত্যু হয় বিজেপি প্রার্থী গোকুল চন্দ্র পালের। সেই কারণে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডটিতে ভোট স্থগিত হয়ে যায়।

গত ২৬ জুন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে হয় পুনর্নিবাচন। ২ হাজার ৭৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ৭৩ শতাংশ মানুষ ভোট দান করেন। বুধবার ফল ঘোষণার পর দেখা যায় ১৩০ ভোটে জয়ী হয়েছেন বাম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়।

বস্তুত, চন্দননগরে বরাবরই সিপিএম সংযুক্ত নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনে লড়াই করে থাকে। এ দিকে, চন্দননগর পুরনিগম আগেই দখল করেছে তৃণমূল। ৩১ টি ওয়ার্ড তাদের দখলে। মেয়রও তাদের। এরপরে একটিমাত্র ওয়ার্ডে নির্বাচন হলে সেখানে তৃণমূল প্রার্থীর এই পরাজয় ঠিক কী কারণে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গুলি নিয়ে প্রচার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। তারপরেও এই হার তৃণমূলকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে অন্তত তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এই ওয়ার্ডে মূল লড়াই ছিল তৃণমূল বনাম বাম প্রার্থীর। চন্দননগর পুরভোটে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে খুব অল্প ব্যবধানে হারতে হয়েছিল বাম প্রার্থীদের। ফলত, অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের এই জয় সিপিএমকে চন্দননগরে বাড়তি অক্সিজেন দেবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। জয়ের পর সিপিএম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই জয়। ৩২ বছর পর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে জয় এল বামেদের। কোনও দলের কাউন্সিলর নই। আমি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সকল মানুষের কাউন্সিলর হিসাবে কাজ করতে চাই।’ তিনি আরও জানান,’অত্যন্ত ভাল লাগছে। দীর্ঘ এতবছর পর এখানকার মানুষ আমাদের উপর আস্থা-বিশ্বাস রাখতে পেরেছে তাতে আমি খুশি। আমার প্রথম কথাই হল এই সকল মানুষের আরও যোগ্য হয়ে ওঠা, আরও বিনয়ী হয়ে ওঠা। তাঁদের আশা-আকাঙ্খা পুরণ করা। প্রথমেই আমি বলব যাঁরা পৌর কর্মচারি বন্ধু রয়েছেন তাঁরা যেন সঠিক বেতন পান, দৈনিক মজুরি প্রাপ্ত কর্মীরা যেন সঠিক মজুরি পান তার চেষ্টা করব।’

অপরদিকে, বামেদের কাছে তৃণমূলের পরাজয় নিয়ে চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপি-কংগ্রেস একজোট হয়ে সিপিএমকে ভোট দিয়েছে। এই সময় দাঁড়িয়ে হারা নিঃসন্দেহে শুভ নয়। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পছন্দ না হওয়া একটা কারণ হতে পারে। হারের কারণ পর্যালোচনা করা হবে।’