Dipsita Dhar: ‘ও তো মিস ইউনিভার্স…’, দীপ্সিতার উপর চটে লাল কল্যাণ
TMC-CPIM: দীপ্সিতা জানান, কল্যাণকে তিনি খুঁজছিলেন। কিন্তু দেখতে পাননি। কটাক্ষের সুরে বাম প্রার্থী বলেন, হয়ত কল্যাণবাবু এখনও 'মিস্টার ইন্ডিয়ার ঘড়ি' পরে আছেন। পাল্টা আবার বাম প্রার্থীকে 'মিস ইউনিভার্স' খোঁচা দিতে ছাড়লেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শ্রীরামপুর: লোকসভা ভোটের আগে রাজনীতির আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে তপ্ত হচ্ছে শ্রীরামপুরের মাটি। তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও বামেদের যুব নেত্রী দীপ্সিতা ধর, প্রচারের ময়দানে কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও ছেড়ে কথা বলছেন না। বুধবার প্রচার বেরিয়ে দীপ্সিতার একপ্রকার মুখোমুখি কল্যাণ। তবুও তৃণমূলের প্রার্থীকে দেখতেই পেলেন না বাম প্রার্থী। দীপ্সিতা জানান, কল্যাণকে তিনি খুঁজছিলেন। কিন্তু দেখতে পাননি। কটাক্ষের সুরে বাম প্রার্থী বলেন, হয়ত কল্যাণবাবু এখনও ‘মিস্টার ইন্ডিয়ার ঘড়ি’ পরে আছেন। পাল্টা আবার বাম প্রার্থীকে ‘মিস ইউনিভার্স’ খোঁচা দিতে ছাড়লেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরে প্রচারে গিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অন্যদিকে বড় বেলু থেকে প্রচারে নেমেছিলেন দীপ্সিতা ধর। হঠাৎ মাঝরাস্তায় দুই শিবির মুখোমুখি। দু’পক্ষের মধ্য়েই চলে স্লোগান দিতে থাকে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এগিয়ে গিয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের থামান এবং বামেদের এগিয়ে যাওয়ার পথ করে দেন। কল্যাণবাবুর কথায়, তাঁরা নির্ধারিত সময়েই সেখানে গিয়েছিলেন। বামেরা সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে ছিল। তিনি বলেন, ‘যখন আমরা দাঁড়িয়ে আছি, তখন ওখানে এসে মাইক ফোঁকার দরকার ছিল না। আমাদের ছেলেরা একটু উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছিল, আমি ওদের সামাল দিলাম। সিপিএম প্রার্থীর যদি দায়িত্ববোধ না থাকে, আমার কী করার আছে!’
এদিকে এত কিছু ঘটে যাওয়ার পরও কল্যাণবাবুকে দেখতেই পেলেন না দীপ্সিতা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়দের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সিপিএম প্রার্থী বলেন, ‘আমি তো ওনাকে খুঁজছিলাম। দেখতে পেলাম না। উনি বোধ হয় এখনও মিস্টার ইন্ডিয়ার ঘড়িটা পড়ে আছেন।’ দীপ্সিতার এই খোঁচার অবশ্য জবাব দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীও। কল্যাণ পাল্টা বলেন, ‘ও দেখবে কীভাবে! ও তো মিস ইউনিভার্স। নয় বছর ধরে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে, থিসিস জমা দিতে পারছে না। কত বড় পণ্ডিত বলো? হেরে ভূত হয়ে চলে যাবে।’