কৃষ্ণনগর: ২৪ ঘণ্টা আগে আরামবাগ থেকে সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলকে কার্যত তুলোধনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূল নেতারা দুঃসাহসের সব সীমা পার করে ফেলেছে বলে আরামবাগের মঞ্চ থেকে সরব হয়েছিলেন তিনি। আর এবার মোদীর নিশানায় রাজ্য পুলিশ। দু দিন আগেই গ্রেফতার হয়েছেন শেখ শাহজাহান। আর তারপরই কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মোদী। নাম না করে মোদী এদিন বলেন, “এ রাজ্যের এমন অবস্থা হয়েছে যে পুলিশ নয়, অপরাধী এখানে ঠিক করে, সে আত্মসমর্পণ করবে কি না, গ্রেফতার হবে কি না।”
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হয় ইডি। তারপর থেকেই খোঁজ ছিল না শাহজাহানের। প্রায় দু মাস পর গত বুধবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন শাহজাহান। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। পুলিশই সুরক্ষা দিচ্ছিল, এমন প্রশ্নও তুলেছেন বিরোধীরা। এই নিয়ে শুক্রবারের সভা থেকেই প্রশ্ন তুলেছেন মোদী।
শুক্রবার আরামবাগে গিয়ে মোদী বলেন, কেউ তো নিশ্চয় ছিল, যে অভিযুক্তকে বাঁচাচ্ছিল। আজ শনিবারে কৃষ্ণনগরের সভায় ফের সন্দেশখালি প্রসঙ্গে কথা বললেন মোদী। তিনি বলেন, “আজ মা-মাটি-মানুষ তৃণমূলের শাসনে কাঁদছে। সন্দেশখালির মা-বোনেরা কাঁদছে। কিন্তু তৃণমূল তাঁদের কথা শুনছে না। এখানে পুলিশ নয়, অপরাধী ঠিক করে, কবে আত্মসমর্পণ করবে, কবে গ্রেফতার হবে।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্য সরকার তো চাইছিল না অপরাধী গ্রেফতার হোক। কিন্তু বাংলার নারী শক্তি দুর্গা হয়ে লড়াই করেছে। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি কর্মীরা।”