Durga Puja: খাবারই জুটছে না, কোনও রকমে পুজো হচ্ছে বন্যা কবলিত পার্বতীচকে, হাসি ফোটাল শিক্ষক দম্পতি
Durga Puja: পূজার আগে সেখানকার অসহায়, দরিদ্র, পরিবারের মানুষজনদের পুজোয় মুখে হাসি ফোটাতে তাদের নতুন পোশাক পরিচ্ছদ দেন এক শিক্ষক দম্পতি। এই গ্রামের শতাধিক পরিবারের শিশু ও তাদের মায়েদেরও পাশে দাঁড়ান। এতে এই সমস্ত পরিবারের ছোট ছোট শিশুরা বেশ আনন্দিত।
আরামবাগ: বন্যায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত আরামবাগের পার্বতীচক এলাকা। দ্বারকেশ্বর নদীর কোলেই রয়েছে আদিবাসী গ্রাম। জল নামতেই সেখানে বাড়ির মাটির দেওয়ালও খসে পড়ছে। এখনও বাঁধের ওপর ত্রিপলের নীচে রাত কাটাতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে। বন্যায় হারিয়েছে সব। অসহায় হয়ে নদীর বাঁধে গিয়েই আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা। এখন তাঁদের নেই কোনও কাজ, নেই কোনও খাবার। অন্ন জোগাড় করতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে। বানভাসি সেই গ্রামে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরি হয়েছে একদম ছোট্ট করে।
পুজো করতে হচ্ছে রীতি মেনে। তবে পুজোয় পোশাক কিনবেন কী করে। কোনও রকমে অন্ন জোগাড় করতে হচ্ছে তাঁদের। বন্যা কবলিত হলেও এখনও সরকারি ত্রাণে মিলছে চিড়ে আর গুড়। ত্রানের জন্য নীলবাতির গাড়ি আটকে বিক্ষোভও দেখান গ্রামবাসীরা।
TV9 বাংলার খবর দেখেই সেই গ্রামবাসীদের কাছে যান আরামবাগের শিক্ষক দম্পতি। বন্যা দুর্গতদের বিভিন্নভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। শিক্ষারত্ন প্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি গঙ্গোপাধ্যায় আরামবাগের পার্বতীচক গ্রামে যান। পূজার আগে সেখানকার অসহায়, দরিদ্র, পরিবারের মানুষজনদের পুজোয় মুখে হাসি ফোটাতে তাদের নতুন পোশাক পরিচ্ছদ দেন। এই গ্রামের শতাধিক পরিবারের শিশু ও তাদের মায়েদেরও পাশে দাঁড়ান। এতে এই সমস্ত পরিবারের ছোট ছোট শিশুরা বেশ আনন্দিত।
আরামবাগের এই পার্বতীচক গ্রামে সরকারি সাহায্য ছাড়াই ঘরোয়া ভাবে ছোট্ট প্যান্ডেল করে দুর্গাপূজা করা হচ্ছে। পুজোর মুখে নতুন জামা কাপড়ে এলাকার ছোট শিশুদের মুখে হাসি ফুটেছে।