Tarakeshwar: RPF-র ওসিকে ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ বিধায়কের বিরুদ্ধে, পাল্টা ব্যবস্থা রেলের
Tarakeshwar: তারকেশ্বর স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আনার পর থেকেই হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে রেল। রেলের সঙ্গে আলোচনা করে যে জায়গায় প্রকল্পের কাজ চলছে সেই জায়গার বাইরে চলে এসেছেন হকাররা। বাইরেই কোনওমতে করছেন ব্যবসা। কিন্তু তারমধ্যেই সমস্যা।
তারকেশ্বর: আরপিএফের ওসিকে ‘হুমকি’ তৃণমূল বিধায়কের। পাল্টা আইনি ব্যবস্থা রেলের। তারকেশ্বর বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায় আঙুল উঁচিয়ে হুমকি দিচ্ছেন তারকেশ্বর আরপিএফ অফিসের ওসিকে। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। চলছে শোরগোল। জানা গিয়েছে, শনিবার তারকেশ্বরে রেল হকারদের ওপর রেল পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদে আরপিএফ অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান হকার ইউনিয়নের সদস্যরা। এ নিয়ে রেল পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যান তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়। রেল পুলিশের অফিসে বিধায়ক কথা বলার সময় একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তারকেশ্বর বিধায়ক আরপিএফের ওসি অনিল মিশ্রকে আঙুল উঁচিয়ে হুমকি সুরে কথা বলছেন। উচ্চগ্রামে যখন এই কথোপকথন চলছে তখন ‘ঘুষের টাকায় থানা চলে’ বলেও বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় রামেন্দুকে।
প্রসঙ্গত, তারকেশ্বর স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আনার পর থেকেই হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে রেল। রেলের সঙ্গে আলোচনা করে যে জায়গায় প্রকল্পের কাজ চলছে সেই জায়গার বাইরে চলে এসেছেন হকাররা। বাইরেই কোনওমতে করছেন ব্যবসা। অভিযোগ, সেই হকারদের জরিমানা করার পাশাপাশি গ্রেফতারও করছে রেল। এরই প্রতিবাদে শনিবার রেল পুলিশের দফতরে বিক্ষোভ দেখায় হকাররা। তখনই আসেন রামেন্দু।
রেল পুলিশের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার সময় রামেন্দু সিংহ রায় বেশ খানিকটা উত্তেজিত হয়েই বলেন, “যখন তখন অযথা ফাইন করছে রেল। কোন আইনে আছে এটা? পুলিশ অফিসার বলছেন অবৈধ পার্কিং করলে রেলকে দেখতে হয়। অবৈধ কিছু দেখলে ফাইন করা হয়। না হলে থানা বন্ধ হয়ে যাবে।” তাঁর প্রশ্ন, ফাইনের টাকায় কীভাবে থানা চলে? পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে! উত্তপ্ত কথোপকথনের মধ্যেই আঙুল উঁচিয়ে পুলিশকে বলেন, ‘ফাইনের টাকায় থানা চালাচ্ছেন, ঘুষের টাকায় থানা চালাচ্ছেন!’ তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে যায় চাপানউতোর।
যদিও পরবর্তীতে রামেন্দু জানান, ডিআরএম-কে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য ফোন করা হয়েছিল। তিনি ফোন তোলেননি। যদি নিয়মে থাকে রেলের জায়গায় উচ্ছেদ করতে হবে তাহলে হাওড়া থেকে শুরু হোক। শুধুমাত্র তারকেশ্বরের হকাররা এই যন্ত্রণা ভোগ করবে কেন? কালীপুজোর পর এই বিষয়ে ডিআরএমের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও বলেন, “রেল পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিদিন ১৮০০-২০০০ টাকা করে জরিমানা করা হবে এক একজন হকারকে। শুক্রবার এক হকারকে আটকও করে রেল পুলিশ।” অন্যদিকে রেল পুলিশ জানিয়েছে থানার ভিতরে ঢুকে উত্তেজনা ছড়ানোর বিষয়ে নির্দেশ অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বিধায়কের বিরুদ্ধে। আরপিএফের ওসি অনিল মিশ্রও আইনি পদক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।