Sudipta Sen: ‘বিনা বিচারে ১০ বছর জেলে’, জামিনের কাতর আর্জি সুদীপ্ত-দেবযানীর

Sudipta Sen: আজ দু'টি মামলার শুনানি ছিল আদালতে। প্রথমটি, ২০১৩ সালে চন্দননগর থানায় বিশ্বনাথ অধিকারী নামে এক সারদা এজেন্ট মামলা করেছিলেন।

Sudipta Sen: 'বিনা বিচারে ১০ বছর জেলে', জামিনের কাতর আর্জি সুদীপ্ত-দেবযানীর
সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায় (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2023 | 7:09 PM

হুগলি:  সারদা চিটফান্ড (Sarada Case) কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল সুদীপ্ত সেনের (Sudipta sen)। সেই ঘটনায় সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়। পোলবা ও চন্দননগর থানার দু’টি পৃথক মামলায় এ দিন হাজির করানো হয় সুদীপ্ত সেন ও তাঁর চার সঙ্গীকে।সারদা চিটফান্ড মামলায় সিবিআই তদন্ত চলছে। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন সারদা কর্তা।

আজ দু’টি মামলার শুনানি ছিল আদালতে। প্রথমটি, ২০১৩ সালে চন্দননগর থানায় বিশ্বনাথ অধিকারী নামে এক সারদা এজেন্ট মামলা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, সারদা এজেন্টদের দিয়ে টাকা তুলে তা নিজে আত্মসাত করেছে। দ্বিতীয়টি হল,  গ্লোবাল অটো মোবাইল নামক একটি কোম্পানিকে কেনে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। পরবর্তীতে দেখা যায় ওই কোম্পানি কর্মিদের পিএফএর টাকা দিচ্ছিল না। সেই সংক্রান্ত মামলা হয় পোলবা থানায়। এই দু’টি মামলার দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য পুলিশ।

এ দিন, সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী মৃন্ময় মজুমদার আদালতে জানান, গত দশ বছর ধরে আটক রয়েছেন। সিবিআইয়ের হাতে এই দু’টি মামলা হস্তান্তর করা হোক। এই মর্মে সুপ্রিমকোর্টের একটি রায়ও শোনান তিনি। যে কোনও শর্তে দু’জনের জামিন দাবি করেন আইনজীবী। যদিও, আদালত জামিন নাকচ করে মামলার দিন পিছিয়ে দেয়।

মৃন্ময় মজুমদার বলেন, “আজকে সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে হুগলি জেলা আদালতে আনা হয়েছিল। আমরা তাঁদের জামিনের জন্য আবেদন করি। আমরা বলি গত দশ বছর এরা বিনা বিচারে আটকে রয়েছেন। এবং সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশও নিয়েছিল এই দুটি মামলা যেন রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তা সিবিআই এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই দু’টি কেসই রাজ্য পুলিশ সিবিআই-কে দেয়নি। তাই আমরা জানিয়েছি সু্প্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। তাই যে কোনও মূল্যে তাঁদেরকে জামিন দেওয়া হোক।”

অপরদিকে সরকারি পক্ষের আইনজীবী বলেন, “এটা বৃহত্তর অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি। শুধু হুগলিতেই প্রায় ৫০ কোটি টাকার তছরুপ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় সম্পত্তি কিনে আত্মসাৎ করেছেন। তাই এদের জামিন দেওয়া যাবে না।”