Dankuni Municipality: প্লাস্টিক বন্ধে সচেতনামূলক প্রচারের পর ‘আইন’ ভাঙল খোদ পৌরসভা
Hooghly: হুগলির ডানকুনির ঘটনা। সেখানে এলাকার ব্যবসায়ী ও পুর বাসিন্দাদের অভিযোগ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আবর্জনা নিয়ে এসে ফেলা হচ্ছে ডানকুনি বাজারে।
ডানকুনি: ১ জুলাই বন্ধ হয়েছে প্লাস্টিক। একদিকে, পরিবেশ দূষণ রুখতে বাজারে-বাজারে প্লাস্টিক বন্ধে অভিযান চালাচ্ছে পুরসভা। অপরদিকে তাদের বিরুদ্ধেই পরিবেশ দূষণের অভিযোগ তুলেছেন ডানকুনির ব্যবসায়ীরা।
হুগলির ডানকুনির ঘটনা। সেখানে এলাকার ব্যবসায়ী ও পুর বাসিন্দাদের অভিযোগ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আবর্জনা নিয়ে এসে ফেলা হচ্ছে ডানকুনি বাজারে। যার কারণে গোটা বাজার জুড়ে আবর্জনার দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে সাধারণ মানুষের।
শুধু বাজার নয়, দিল্লি রোডের পাশে জনবহুল এলাকাতেও ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। পথচারি থেকে স্কুল-পড়ুয়া এবং দিল্লি রোড সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের একই অবস্থা। অভিযোগ, পুরসভাকে বারবার লিখিত আবেদন জানালেও বন্ধ হচ্ছে না আবর্জনা ফেলা। ফলে পৌরবাসীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।
ডানকুনি পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর মনোজ গায়েনের দাবি, দলীয়ভাবে লিখিত অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এভাবেই শিল্প নগরী ডানকুনিকে তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভা আবর্জনা নগরীতে পরিণত করছে। আগামী দিনে এলাকার মানুষকে নিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বাম নেতৃত্ব।
অন্যদিকে, ব্যবসায়ী থেকে সাধরণ মানুষের একই অভিযোগ যে পৌর সভাকে বার-বার জানিয়েও কোনও ফল পাননি তাঁরা। বরং আবর্জনার স্তুপ যেভাবে বেড়ে চলেছে ঠিক সেই ভাবেই বেড়ে চলেছে দূষণের মাত্রা।
যদিও, আজব সাফাই দিয়েছেন পৌর সভার চেয়ারম্যান হাসিনা শবনম।তিনি জানান, আবর্জনা ফেলার জন্য আলাদা করে ডাম্পিং স্টেশন করা আছে পৌর সভার সেখানেই বাড়ি বা বাজারের আবর্জনা আলাদা আলাদা করে ফেলা হয়। তবে লোকালয়ে রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা আবর্জনা ফেলে দিয়ে যাচ্ছে ফলে সাধরণ মানুষ এগিয়ে এলে ডানকুনি পৌরসভা মানুষের পরিষেবায় প্রস্তুত আছে।
পরিবেশকর্মী, সম্পাদক, শেখ মাবুদ আলি বলেন, ‘এর আগেও আমরা পুরসভাকে জানিয়েছি। একটি হাইস্কুলের পাশে কয়েকটি ওয়ার্ডের আবর্জনা ফেলা হয়। তার জন্য দুর্গন্ধ ছড়ায়। কেউ-কেউ আগুনও লাগিয়ে দেয়। এর জন্য দূষণও হয়। ডানকুনি বাজারেরও এক হাল। তাই ডানকুনি পুরসভার কাছে আবেদন আপনারা নির্দৃষ্ট কোনও জায়গায় আবর্জনা ফেলুন।’ হাসিনা শবনম, ডানকুনি পৌরসভার চেয়ারম্যান বলেন, ‘ডানকুনি পৌরসভাআমরা চেষ্টা করছি যাতে এই সমস্যার সমাধান হয়। ব্যবসায়ীদের কাছে আমাদের আবেদন যেন বর্জ্য পদার্থ যেখানে-সেখানে না ফেলেন। সেই বর্জ্যগুলিকেই আমরা ফেলছি। তাই তাদের কাছে আবেদন আমাদের তাঁরা যেন নির্দিষ্ট ভ্যাটে এই ময়লা ফেলেন।’