সপ্তগ্রাম: কখনও কাছে, কখনও আবার দূরে ঠিক এমনই সম্পর্ক সপ্তগ্রামের বিধায়ক আর চুঁচুড়ার বিধায়কের মধ্যে। কিন্তু রাজ্যে যথন পুরভোট নিয়ে লড়াই চলছে সেই সময় একই দলের দুই বিধায়ককের মনোমালিন্যে রাজনীতির পারদ আরও বাড়াবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ঠিক কী হয়েছে?
বুধবার সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলছেন, ‘এখানে আমি একটা কথা চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলবো চুঁচুড়ার বিধায়ক আছেন। কিন্তু কাজ করেন কে? তপন দাশগুপ্ত! নাইনটি পার্সেন্ট লোক আমার কাছে আসেন। কারণ হুগলি জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসটা তৈরি আমি করেছিলাম।’ ২২ সেকেন্ডের বক্তব্যের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই দুই বিধায়কের সম্পর্কের দূরত্ব আরও বাড়ল বলেই মনে করছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ও সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত দু’জনেই চুঁচুড়ার বাসিন্দা। কিন্তু দু’জনের সম্পর্ক অম্ল মধুর। আবার কখনো তেতো। তবে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর দু’জনের সম্পর্ক বেশ ভালো হয়। একই মঞ্চে দু’জনকে দেখাও যায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
এরপর একুশের বিধানসভা ভোটে দু’জনেই পুনরায় বিধায়ক নির্বাচিত হন। সম্পর্ক আবার খারাপ হতে থাকে।এরপর রাজ্যে এল পুরসভা ভোট। প্রার্থী ঘোষণা হতেই তা আরও প্রকট হয়। কিন্তু কেন? সূত্রের খবর, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ২১ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর গোবিন্দ দাশগুপ্ত এবার টিকিট পাননি। ২১ নং ওয়ার্ড এবার মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। তবে মহিলা সংরক্ষিত হওয়ার পরেও ১০ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ দত্তকে ১৫ নম্বরে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ২৪ সংরক্ষিত হওয়ায় ২৬ টিকিট দেওয়া হয়েছে পার্থ সাহাকে। গোবিন্দ যেহেতু তপন দাশগুপ্তর ভাই তাই তাকে টিকিট দেওয়া হয়নি এমন চর্চা চলছে চুঁচুড়ায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। যদিও, গোবিন্দর টিকিট না পাওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি তপন দাশগুপ্ত।
এক সময় চুঁচুড়া বড় বাজারে তাঁর অফিস থেকে জেলা তৃণমূল চলত। টানা বারো বছর তিনি জেলা সভাপতি ছিলেন। সেই বড় বাজারে একটি নতুন অফিসের উদ্বোধন করেছেন অসিত মজুমদার। দূরত্ব বেড়েছে দুই নেতার। এর মধ্যে তপন দাশগুপ্তর এই ভিডিও সামনে আসায় তা নিজের ফেসবুক পেজ ও বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে দিয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক লিখেছেন, ‘একটা পাগল আর ছাগল আছে চুঁচুড়ায়, তার কথা শুনুন…’
অসিত মজুমদারকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ‘এটা আমার দলের ব্যাপার,যা বিষয় আছে তো দেখতেই পাচ্ছেন। বাকিটা মানুষ বুঝবে।’
আরও পড়ুন: TET Job Seekers: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, চাকরি চাই’ ক্ষোভে লাল টেট উত্তীর্ণরা