AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Manoranjan Byapari: মুখোমুখি বসলেন মনোরঞ্জন-রুনা, মান-অভিমান কি ভাঙল?

Manoranjan Byapari: মঙ্গলবার বলাগড় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও যুব নেত্রী রুনা খাতুনের দ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূলের ম্যারাথন বৈঠক হয়। ত্রিবেনীর বিটিপিএস গেস্ট হাউসে আয়োজিত সেই বৈঠকে ছিলেন জেলার চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র, সভাপতি অরিন্দম গুঁইন প্রমুখ।

Manoranjan Byapari: মুখোমুখি বসলেন মনোরঞ্জন-রুনা, মান-অভিমান কি ভাঙল?
বৈঠকে রুনা-মনোরঞ্জনImage Credit: GFX- TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jan 09, 2024 | 8:25 PM
Share

বলাগড়: শুধুমাত্র রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা গোষ্ঠীকোন্দল নয়। একে অপরের বিরুদ্ধে রীতিমতো ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের বিধায়ক ও যুবনেত্রীকে। বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও যুবনেত্রী রুনা খাতুনের সেই তরজা গড়ায় থানা-পুলিশ পর্যন্ত। কেউ যে কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে এমন কাদা ছোড়াছুড়ি ভালভাবে দেখেননি দলের অনেকেই। দ্রুত সব মেটানোর বার্তা দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে দলের শীর্ষ নেতত্বের উদ্যোগে মুখোমুখি বসানো হল দুই নেতা-নেত্রীকে।

মঙ্গলবার হুগলিতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক হয়। জেলা তৃণমূলের চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র দাবি করেন, তৃণমূল পরিবার বড় হয়েছে তাই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এই তরজাকে ‘ছেলেমানুষী ঝগড়া’ বলে উল্লেখ করেন জেলা সভাপতি। সব মান-অভিমান মিটিয়ে তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে চলার বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিনের বৈঠকে সব ভুল বোঝাবুঝি শেষ হয়েছে বলেও দাবি করেছে তৃণমূল। যে অভিযোগ উঠেছিল তার কোনও সারবত্তা নেই বলেও দাবি করা হয়।

কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে রুনা খাতুন মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “সবার লক্ষ্য একটাই। দলের অনুশাসন মেনে চলা, দলকে শক্তিশালী করা। দলের জন্য আমি জেলা পরিষদ সদস্য হয়েছি। তাই দলের অনুশান সবার আগে। তিনি বলাগড় থানায় যে অভিযোগ করেছিলেন সেটা নিয়ে দলের ভিতরে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।”

বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, “আজ জেলা নেতৃত্ব আমাদের নিয়ে বসেছিলেন। দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই শিরোধার্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ধুলো থেকে তুলে সোনার মতো মূল্যবান বানিয়েছেন, আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।”

মঙ্গলবার বলাগড় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও যুব নেত্রী রুনা খাতুনের দ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূলের ম্যারাথন বৈঠক হয়। ত্রিবেনীর বিটিপিএস গেস্ট হাউসে আয়োজিত সেই বৈঠকে ছিলেন জেলার চেয়ারপার্সন অসীমা পাত্র, সভাপতি অরিন্দম গুঁইন, মনোরঞ্জন ব্যাপারী, রুনা খাতুন, বলাগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমান জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ অসীম মাঝি, মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী শিল্পী চট্টোপাধ্যায়, বলাগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।