AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Chandannagar: চন্দননগরে একই পরিবারের তিনজনের অচৈতন্য দেহ উদ্ধার, হাসপাতালে নিয়ে গেলেও মৃত্যু একজনের

Chandannagar: চন্দননগরের বৈদ্যপোতা এলাকায় বাড়ি একেন্দ্র নাথ দাসের (৮৭)। বাড়িতে স্ত্রী সুনীতা দাস(৮৩) ও তাঁদের মেয়ে শর্মিষ্ঠা দাস(৪৩)। এদিন সকালে তিনজনেরই অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। দ্রুত উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও একেন্দ্রবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

Chandannagar: চন্দননগরে একই পরিবারের তিনজনের অচৈতন্য দেহ উদ্ধার, হাসপাতালে নিয়ে গেলেও মৃত্যু একজনের
শোকের ছায়া এলাকায় Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2025 | 4:22 PM
Share

চন্দননগর: ট্যাংরার দে পরিবারের কথা এখনও ভোলেনি শহরবাসী। এরইমধ্যে গত ২৮ মে চন্দননগরের কলুপুকুর ভাগারধারে একই পরিবারের তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। শোনা গিয়েছিল ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়েছিলেন গৃহকর্তা। সেই অবসাদ থেকেই স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। যা নিয়ে গোটা চন্দননগরেই বিস্তর চাপানউতোর হয়। সেই ঘটনার রেশ মেলাতে না মেলাতেই এবার কার্যত একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখা গেল  চন্দননগরের বৈদ্যপোতা এলাকায়। সেখানেও ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল একই পরিবারের তিনজন। মৃত্যু একজনের। 

চন্দননগরের বৈদ্যপোতা এলাকায় বাড়ি একেন্দ্র নাথ দাসের (৮৭)। বাড়িতে স্ত্রী সুনীতা দাস(৮৩) ও তাঁদের মেয়ে শর্মিষ্ঠা দাস(৪৩)। এদিন সকালে তিনজনেরই অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। দ্রুত উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও একেন্দ্রবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। শর্মিষ্ঠার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসা চলছে তাঁর মায়ের। 

শর্মিষ্ঠা বলছেন, আর্থিক অনটনের কারণেই তাঁরা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “আমাদের বাড়িতে কাজ করার কেউ নেই। সংসার অনটন। তাই তিনজনই ঘুমের ওষুধ খাই।” ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আগে দাস পরিবার ভালরকমের বিত্তশালী ছিল। কোলিয়ারির ব্যবসা ছিল। কিন্তু, বর্তমানে বেশ কিছুদিন ধরেই আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিল গোটা পরিবার। এলাকার লোকজনের সঙ্গেও তাঁরা খুব বেশি মেলামেশা করতেন না। শেষবার তিনদিন আগে বৃদ্ধকে দেখেছিলেন এলাকার লোকজন। তারপর আর দেখা মেলেনি। কিন্তু, তাই বলে যে এত বড় কাণ্ড ঘটে যাবে তা ভাবতে পারছেন না কেউই।