TMC: ‘চামড়া গুটিয়ে দেবো’, আবারও শিরোনামে তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার
Hooghly: চুঁচুড়ার ঘড়িরমোড়ে তৃণমূলের এক সভা থেকে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, "চামড়া গুটিয়ে দেবো। কারণ, আমাদের অনেক কর্মীর রক্ত গিয়েছে। ২০১১ সালে কিছু বলিনি।"
হুগলি: আবার বিতর্কের মুখে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। এবার প্রকাশ্য সভা থেকে ‘চামড়া গুটিয়ে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি জেলার দাপুটে এই তৃণমূল নেতার। এর আগেও একাধিকবার নিজের বক্তব্যের জন্য বিতর্কে নাম জড়িয়েছে তাঁর। তবে সেসব ফুঁৎকারে উড়িয়ে আবারও ‘জ্বালাময় ভাষণ’ বিধায়কের। এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জোর বিতর্ক জেলায়। বাম-বিজেপি একযোগে এর নিন্দা করেছে। সিপিএমের বক্তব্য, নির্বাচনের আগে ছড়ানোর চেষ্টায় এসব বলছেন বিধায়ক। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, মানুষের রায়ে আস্থা নেই বলেই এসব হম্বিতম্বি।
চুঁচুড়ার ঘড়িরমোড়ে তৃণমূলের এক সভা থেকে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “চামড়া গুটিয়ে দেবো। কারণ, আমাদের অনেক কর্মীর রক্ত গিয়েছে। ২০১১ সালে কিছু বলিনি। ২০১৬ সালে কিছু বলিনি। ২০২১-এও কিছু বলিনি। কিন্তু বলার সময় হলে কিন্তু বলব। অন্তত ১০০ টা বুথে ২০১১-এর আগে আমাদের এজেন্ট উঠে যেত ৮টায়। আর এখানে ওই বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস একসঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করছে।”
একইসঙ্গে এদিন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম করে অসিত মজুমদার বলেন, “ভাল সাজগোজ করে আসার দরকার হলে ঘড়ির মোড় আসেন। নাহলে চুঁচুড়ার মানুষের কাছে আসেন না। সেজেগুজে এসে খালি ইডি যাবে, সিবিআই যাবে বলে। তাই বলি ২০২৪-এ ৪০।”
গুপ্তিপাড়ায় সভা করতে এসে অসিত মজুমদারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, যদি এমন বলে থাকেন, আর তার ভিডিয়ো থাকে, তাহলে এসপিকে জানাতে হবে। পুলিশের উচিত তাঁকে জিজ্ঞাসা করা। নির্বাচনের আগে কেন এ ধরনের কথা বলে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন।”
অন্যদিকে হুগলির বিজেপি নেতা সুরেশ সাউয়ের বক্তব্য, বিধায়কের এই ধরনের বক্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে, মানুষের রায়ে একেবারেই আস্থা নেই। তাই দলের কর্মীদের ভোটে সন্ত্রাস করার বার্তা দিচ্ছেন। সুরেশ সাউয়ের সংযোজন, “বিজেপিও প্রস্তত আছে। কে কার চামড়া গুঁটিয়ে নেয় সেটা সময় বলবে। হুগলির সাংসদ সম্পর্কে এর আগেও কুরুচিকর কথা বিধায়ক বলেছেন। এটা ওনাদের দলের সংস্কৃতি।”