MLA Naushad Siddiqui: কলকাতা অচলের হুঁশিয়ারি ফুরফুরার পীরজাদাদের

Hooghly: এদিন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদারা এক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমে বার্তা দেন, সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে এগিয়ে আসার।

MLA Naushad Siddiqui: কলকাতা অচলের হুঁশিয়ারি ফুরফুরার পীরজাদাদের
নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2023 | 6:46 PM

হুগলি: আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (ISF MLA Naushad Siddiqui) গ্রেফতারির পর কার্যত কলকাতা অচলের হুঁশিয়ারি ফুরফুরা শরিফের পীরজাদার। সোমবারই এই হুঁশিয়ারি দেন পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকি। তিনি বলেন, “কলকাতায় ধর্মতলায় আমরা পীরসাহেবরা গিয়ে বসব। তাঁবু খাটিয়ে বসব।” নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির পর একজোট ফুরফুরার পীরজাদারা। সোমবার পীরজাদা ইব্রাহিম সিদ্দিকির বাড়িতে একটি বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানে ছিলেন পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকি, পীরজাদা সাফারি সিদ্দিকি, পীরজাদা সানাউল্লাহ সিদ্দিকি, সাহিমউদ্দিন সিদ্দিকি, পীরজাদা নাজমুস শাহাদাত-সহ অন্য পীরজাদারা। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকি বলেন, নওশাদ সিদ্দিকিকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে কলকাতা স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার কথাও বলেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, আরাবুলের লোকজন এসে নওশাদের উপর হামলা করেছে। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অথচ আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকি বলেন, “হিন্দু, মুসলমান, জৈন, খ্রিস্টান, দলিত, আদিবাসী আমাদের যেখানে যত ভক্ত আছেন, আপনারা তৈরি হন আগামিদিন কলকাতা আসার জন্য। আমরা কলকাতার রাজপথ অচল করে দেব।”

সূত্রের খবর, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদে বুধবার আইএসএফ শহরে মিছিল করবে। শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা অবধি মিছিল করবে তারা। যেতে পারে রাজভবনেও। এদিন পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি বলেন, “ফুরফুরা শরিফের যত পীরসাহেব আছেন, সকলে খারাপ নজরে দেখছি এটা। বাংলার হিন্দু-মুসলমান সকলেই খারাপ নজরে দেখছেন। সামনে পঞ্চায়েত ভোট।”

পীরজাদা সৈয়দ নাজিমুদ্দিন হুসেন বলেন, “আমাদের খুব চিন্তাভাবনা করে ভোট দিতে হবে। আজ পশ্চিমবাংলায় যে পরিস্থিতি চলছে, ভয় পেলে হবে না। বিজেপির ভয়, সিপিএমের ভয়, কংগ্রেসের ভয়, ভয় দেখিয়ে যা চলছে হবে না। বাংলার সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে বলব, যেখানেই অন্যায় করে কোনও দল চলবে, তাদের উল্টোদিকে যে থাকবে তাদের আমরা জেতাব।” ইতিমধ্যেই পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকিও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন।

এ বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে কেউ যদি বিনা নোটিসে রাস্তায় বসে যায়, তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিপদে পড়লে পুলিশ কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে? একজন বিধায়ক বসেছিলেন, তাঁকে বারবার বলা হয়েছিল উঠে যেতে, তিনি উঠবেন না। তিনি জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি জনগণকে অসুবিধায় ফেলেন, পুলিশ তুলে দিয়েছে। তাঁর লোকজন পুলিশকে মেরেছে। পুলিশের একাধিক কর্মী আহত। যা ব্যবস্থা নেওয়ার আইনে হয়েছে।”