Dengue: কার্যত ডেঙ্গির হটস্পট হয়ে উঠছে হুগলি, মানছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরই
Hoogly: জেলার পাঁচটি বড় হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জ্বর হলে তিনদিনের মধ্যে ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে হবে।
হুগলি: রাজ্যের যে সমস্ত জেলার ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি স্বাস্থ্য দফতরের মাথা ব্যথার কারণ, তার মধ্যে নিঃসন্দেহে অন্যতম হুগলি। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন এই জেলায়। এমনও বলা হচ্ছে, হুগলি জেলা ক্রমেই যেন ডেঙ্গির হটস্পট হয়ে উঠছে। যেসব জায়গায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি, সেইসব এলাকার বাসিন্দাদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হুগলি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে।
হুগলি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী পাঁচ বছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের গ্রাফ চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি। এর কারণ হিসাবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর মনে করছে আগে ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য ল্যাব ছিল একটি। এখন সেই জায়গায় ৯ টি ল্যাব রয়েছে জেলায়। স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা বেড়েছে। তাছাড়া গত দু’বছর করোনার জন্য ডেঙ্গি পরীক্ষায় সেইভাবে জোর দেওয়া হয়নি। এবার পরীক্ষাও হচ্ছে প্রচুর।
তবে এই বৃদ্ধিতে চিন্তা বেড়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া বলেন, আদতে হুগলি জেলার গোটাটাই হটস্পট। ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি যেসব এলাকায়, সেগুলিকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অতি সতর্ক থাকতে হবে উত্তরপাড়ার ১৫, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড, শ্রীরামপুরের ১৪, ১৬, ১৭, ১৯, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড, রিষড়ার ১১, ১৪, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড, বৈদ্যবাটির ৫, ১১ নম্বর ওয়ার্ড, ডানকুনির ১২ ও ভদ্রেশ্বর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডকে।
পাঁচ বছরে হুগলি জেলার ডেঙ্গি গ্রাফ (তথ্যসূত্র জেলা স্বাস্থ্য দফতর)
২০১৮ সালে ৭৮৫ জন
২০১৯ সালে ২৪৭৫ জন
২০২০ সালে ২০০ জন
২০২১ সালে ৩৩৯ জন
২০২২ সালে আজ পর্যন্ত ৫৭২৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত।
গ্রামীণ এলাকার মধ্যে চণ্ডীতলা-১ ব্লকের মশাট, চুঁচুড়া মগড়ার দেবানন্দপুর, পোলবা দাদপুরের রাজহাট ও সুগন্ধা, বলাগড়ের শ্রীপুর ও জিরাট, শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর ও রিষড়া,খানাকুল ২-এর চিংড়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
জেলার পাঁচটি বড় হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জ্বর হলে তিনদিনের মধ্যে ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে হবে। বিশ্রামে থাকা, বেশি করে জল খাওয়া, তরল খাবার খেতে হবে বলে জানান সিএমওএইচ। একইসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষের সচেতন হওয়া এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িতে বা বাড়ির আশেপাশে ছোট জায়গায় দিন কয়েক জল জমে থাকলে সেখানে মশা ডিম পারে। লার্ভা থেকে মশা বংশ বৃদ্ধি করে। তা আটকাতে হবে। জল কোনওভাবেই জমিয়ে রাখা যাবে না। সিএমওএইচের পর্যবেক্ষণ, শুধু শহরাঞ্চলে নয়, গ্রামেও বাড়ছে ডেঙ্গি।