Hooghly Court: চন্দননগর আদালত যেন ‘মৃত্যুর ফাঁদ’, আজ তার প্রমাণ মিলল
Hooghly Court: কোর্টে সে সয়ম উপস্থিত যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়,আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। ইটের টুকরো ছিটকে একজনের গায়ে লাগে।পরে ওই জায়গা দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়।
হুগলি: চন্দননগর আদালতে বারান্দার ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ল। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা মিলল। তবে আদালত কক্ষ ও বারান্দা দ্রুত সংস্কারের দাবি তুলেছেন আইনজীবীরা। ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে দশটা। আদালতের ব্যস্ততা সেরকম শুরু হয়নি। লোকজন আসতে শুরু করেছেন সবে। আইনজীবীরাও এসেছেন কয়েকজন। হঠাৎই চন্দননগর আদালতের পূর্ব দিকের বারান্দার ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। কোর্টে সে সয়ম উপস্থিত যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়, আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। ইটের টুকরো ছিটকে একজনের গায়ে লাগে। পরে ওই জায়গা দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়।
চন্দননগর স্ট্যান্ড রানি ঘাটের পশ্চিম দিকে ফরাসি যুগের এই বিল্ডিংয়ে চলে চন্দননগর কোর্ট। ক্রিমিন্যাল বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শৈলেন্দ্র বাগ বলেন, “আমরা স্বীকার করছি এটা পুরনো বিল্ডিং। সরকারি বিভিন্ন মহলকে জানিয়েও কোনওরকম সাড়া পাওয়া যায়নি। জানি না এটা আদালত কিনা। প্রত্যেকের জীবনের আশঙ্কা রয়েছে মাঝে মাঝে কিছুটা মেরামত করে চলে যায়। আদালত মেরামত করার পরই পিলারে ফাটল দেখা গেছে। বৈজ্ঞানিকভাবে লোড ক্যাপাসিটি দেওয়া হয়নি বলেই ধারণা।”
তিনি আশঙ্কা করেন, আগামী দিনে যদি পুরোপুরি ভেঙে পড়ে, তাহলে অনেক বড় বিপদ হবে। পুরনো ভবনকে সঠিকভাবে রেখেই পুরোপুরি মেরামতির ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
আইনজীবী আর পি ঠাকুর বলেন, ” চন্দননগর আদালতের একটা অংশ ভেঙে পড়েছে। ভবিষ্যতে অনেকটা অংশ ভেঙে পড়তে পারে। তার ফলে এই আশঙ্কায় থাকতে হচ্ছে সকলকেই।” তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিবছর আদালতের জন্য টাকা বরাদ্দ হলেও তা ব্যয় করা হয় না এখানে। হেরিটেজ এই ভবনের কোনও রকম মেরামতি হয় না বলেই অভিযোগ।