Jute Mill: ‘মিলকলের শ্রমিকরা কীভাবে সংসার চালায় কেউ খোঁজ রাখে না’, পাঁচ মাস পর জুটমিল খুলে বলছে এত লোক লাগবে না….
Jute Mill: গত পাঁচ মাস ধরে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস ঝুলছিল ভদ্রেশ্বরের এই জুটমিলের গেটে। শনিবারই তা ওঠে।
হুগলি: পাঁচ মাস পর খুলেছিল জুটমিলের দরজা। কিন্তু মিলের দরজা খুললেও কর্তৃপক্ষ বলছে, কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করাবে। কিন্তু শ্রমের কাণ্ডারীরা তা মানতে নারাজ। এর জেরেই শনিবার ফের অচলাবস্থার মুখে পড়ল ভদ্রেশ্বরের শ্যামনগর নর্থ জুট মিল। এদিন পাঁচ মাস পর ভদ্রেশ্বরের শ্যামনগর নর্থ জুট মিল খুললেও কম লোক নিয়ে কাজ করতে হবে বলায় কাজ না করেই বেরিয়ে যান শ্রমিকরা। ফলে ভদ্রেশ্বর শ্যামনগর নর্থ জুটমিলের অবস্থা যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গেল। শ্রমিকদের অভিযোগ, বিভিন্ন বিভাগে যে সংখ্যক শ্রমিক লাগে, তার থেকে কম শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে বলছেন মালিকরা।
গত পাঁচ মাস ধরে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস ঝুলছিল ভদ্রেশ্বরের এই জুটমিলের গেটে। শনিবারই তা ওঠে। প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক এই চটকলে কাজ করেন। এদিকে ৪০০ জন শ্রমিক রক্ষণাবেক্ষণ বা মেনটেনেন্স বিভাগে ঢুকতেই কর্তৃপক্ষ জানায়, এত শ্রমিক লাগবে না। মহম্মদ হোসেন নামে এক শ্রমিক বলেন, “গেলাম বলছে এত লোক লাগবে না। যেখানে চারজন দরকার, সেখানে চাইছে দু’জন দিয়ে কাজ করাতে। যেখানে দু’জন কমিয়ে একজন করে দিচ্ছে। এভাবে কী হয়? আবার আমরা বেরিয়ে চলে এসেছি। আমরা চাই আগের মতোই মিল চলুক। পাঁচ মাস হয়ে গেল। ঘরে তিনটে মেয়ে, বউ। কী করে সংসার চলে সেটা আমরাই জানি। মিলকলের শ্রমিকরা কীভাবে সংসার চালায় কেউ জানে না।”
অভিযোগ, স্প্রিং বিভাগে শ্রমিক কমিয়ে কাজের বোঝা চাপানো নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ শুরু হয়েছিল। সালামত হোসেন নামে এক শ্রমিক বলেন, “আগে একজন শ্রমিক ৮০ বান্ডিল পাটের কাজ করত। এখন সেটা বাড়িয়ে ১০০ করে দিয়েছে। তারপর বলছে, ১২০ বান্ডিল কাজ করতে হবে স্প্রিংয়ে। কেউই পারবে না। স্প্রিংয়ে অনেক খাটনি।” তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সন্তোষ সিং বলেন, “শ্রমিকদের ভুল বোঝানো হয়েছে। বন্ধ থাকার পর মিল খুললে মেন্টনেন্সের কাজ হয়। তারপর ধাপে ধাপে শ্রমিকদের কাজে নেওয়া হয়। আমরা শ্রমিকদের বোঝাব।”
অন্যদিকে সিটু নেতা গৌতম সরকার বলেন, “শ্রমিকদের কাজের উপর শর্ত চাপানো নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহে মিল কর্তৃপক্ষ বলে তারা মিল খুলতে চায়। সেই অনুযায়ী আজ কয়েকটি বিভাগে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে ঢোকেন। কিন্তু মিলের সেই শর্ত মেনে নিতে পারেননি শ্রমিকরা। তাই তাঁরা বেরিয়ে যান। কর্তৃপক্ষ নতুন কোনও ব্যবস্থা বা মেশিন চালু করতে চাইলে সেটা আলোচনা করে করা যেতে পারে। তবে মিলটা আগে যেভাবে চলছিল সেভাবে চালু হোক।”