Hooghly news: বাড়ি থেকে পালিয়ে নাবালিকাকে বিয়ে, পুলিশ ও পরিবারের ভয়েই কি চরম সিদ্ধান্ত যুগলের?
Hooghly: গত বৃহস্পতিবার বাড়ির অমতেই মিলনের হাত ধরে বেরিয়ে যায় ওই নাবালিকা। বাড়ি থেকে পালিয়ে তারা দুজনে বিয়ে করে নেয় বলে পরিবারকে জানায়। নাবালিকার বিয়ের কথা জানাজানি হতেই তাঁর বাড়ির থেকে হরিপাল থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়।
কামারকুণ্ডু : নাবালিকা প্রেমিকাকে বিয়ে। তারপর পুলিশ ও পরিবারের ভয়। সেই থেকেই কি চরম সিদ্ধান্ত নিল যুগল? রবিবার সকালে রেল লাইন থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় যুগলকে। ঘটনাটি ঘটেছে কামারকুন্ডু ও বলরামবাটি স্টেশনের মাঝখানে। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ২২ বছর বয়সি যুবক মিলন বারিককে। মৃত ওই যুবকের বাড়ি হরিপাল সহদেব গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বোড়াইপুর শিবতলা এলাকায়। নাবালিকা প্রেমিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার এক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
বেশ কিছু দিন ধরে মিলনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠেছিল পাশের বাড়ির এক নাবালিকার। গত বৃহস্পতিবার বাড়ির অমতেই মিলনের হাত ধরে বেরিয়ে যায় ওই নাবালিকা। বাড়ি থেকে পালিয়ে তারা দুজনে বিয়ে করে নেয় বলে পরিবারকে জানায়। নাবালিকার বিয়ের কথা জানাজানি হতেই তাঁর বাড়ির থেকে হরিপাল থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। এর পর তাদের বাড়ি ফিরে আসার জন্য বার বার ফোনে যোগাযোগও করা হয়। এদিকে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর নাবালিকার প্রেমিক মিলনের বাবাকে পুলিশ আটক করে। চাপের মুখে পড়ে কী করবে ভেবে পায় না ওই যুগল। যোগাযোগ করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। বাড়িতে জানায়, গতকাল (শনিবার) দুজনেই বাড়ি ফিরে আসছে।
দুই পরিবারের লোকেরাই আশায় ছিল, ছেলে-মেয়ে এবার বাড়ি ফিরে আসবে। কিন্তু রাত দশটার পর ফোন বন্ধ হয়ে যায় দুজনেরই। শনিবার সারা রাত পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরে না কেউই। এরপর রবিবার সকালে কামারকুন্ডু ও বলরামবাটি স্টেশনের মাঝখানে এক জায়গা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, লাইনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ওই যুগল।
এদিকে মিলনের পরিবারের অভিযোগ, অনেকদিন ধরেই তাদের সম্পর্ক ছিল। ওই নাবালিকার পরিবারকে বার বার বলা হয়েছিল, বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু তখন কিছু ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর বিয়ে করে নেওয়ার পর থানায় বলা হয়। মিলনের বাবাকে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়। মেয়ের বাড়ি থেকে ছেলেকে হুমকিও দেওয়া হয়।