কলকাতা: হাওড়ার ডোমজুড় থেকে আনিরুদ্দিন আনসারিকে গ্রেফতার করার পরই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে গোয়েন্দাদের হাতে। প্রশ্ন উঠছে, আনিরুদ্দিনের সঙ্গে আলকায়দার সত্যিই কি কোনও যোগ রয়েছে? ইতিমধ্যেই মধ্য প্রদেশের এটিএস (Anti Terrorism Squad) তাঁকে জেরা করেছে। শুক্রবার এই জেরাপর্ব চলে। শনিবারও তাঁকে গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে বলেই সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই এ রাজ্যে এসেছে মধ্য প্রদেশের তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, মধ্য প্রদেশে আলকায়দা জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের সঙ্গে আনিরুদ্দিনের বয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। মূলত আনিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য। তাঁরই ডোমজুড়ের বাড়িতে ছাত্র হিসাবে ভাড়া থাকতেন মধ্যপ্রদেশ থেকে ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গিরা।
মধ্য প্রদেশ এটিএসের জেরা করার মূল কারণ, ভোপাল থেকে এই জঙ্গিদের মডিউল গ্রেফতার করা হয়। চারজনকে আলকায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে তদন্তকারীদের কাছে। জানা যায়, এ রাজ্যের হাওড়ায় এক বাড়িতে নিশ্চিন্তে ভাড়া থাকছিলেন ধৃতরা। তদন্তকারীরা মনে করছে, আনিরুদ্দিন এই চক্রেরই একজন অংশ। সে কারণেই ভোপাল থেকে যাদের ধরা হয়েছে তাদের সঙ্গে আনিরুদ্দিনের বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে।
আনিরুদ্দিন গত পাঁচ বছর ধরে শিক্ষক পরিচয়ে ডোমজুড়ে থাকছিলেন। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা জঙ্গিদের নথিপত্র তৈরি করে দিতেন তিনি বলেই অভিযোগ। সূত্রের খবর, আনিরুদ্দিনকে জেরার পাশাপাশি হাওড়ায় যেখানে আলকায়দা সন্দেহভাজনরা থাকতেন, সেখানেও যেতে পারে মধ্য প্রদেশ এটিএস। প্রসঙ্গত, বেঙ্গল এটিএস গ্রেফতার করেছে আনিরুদ্দিনকে। চারজনকে গ্রেফতার করেছে মধ্য প্রদেশ এটিএস। এই মডিউলের বাকি সদস্যরা কোথায়, তাঁদের খোঁজ পাওয়া দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত জরুরি। দুই রাজ্যের এটিএস দ্রুত গতিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Sonarpur Case: দোল খেলতে বাড়িতে ডেকেছিলেন প্রেমিক, নেশার রং লাগতেই জঘন্য ঘটনা ঘটালেন তরুণীর সঙ্গে…
আরও পড়ুন: Sonamukhi Clash: নির্দল কাউন্সিলরের লোকজনের ভয়ে ‘কুঁকড়ে’ তৃণমূল! চাঞ্চল্যকর দাবি সোনামুখীতে