Jamtara Gang: বাংলায় নয়া ‘জামতাড়া গ্যাং’? Whatsapp চালু করতে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খোয়ালেন হাওড়ার ব্যবসায়ী
Jamtara Gang: হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চালু করতে গিয়ে ৪৪ হাজার টাকা খোয়ালেন হাওড়ার ব্যবসায়ী। অভিযোগ দায়ের পুলিশে।
হাওড়া: হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) চালু করতে গিয়ে চুয়াল্লিশ হাজার টাকা খোয়ালেন হাওড়ার (Howrah) এক ব্যবসায়ী। রাউন্ড ট্যাঙ্ক লেনের বাসিন্দা বিনোদ কেডিয়া নামে এক ব্যবসায়ী গত সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁর মোবাইলে থাকা হোয়াটসঅ্যাপ অ্য়াপটি খুলছে না। এরপর বাবার মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ চালু করতে বিনোদ কেডিয়ার মেয়ে কলেজ পড়ুয়া মেঘা কেডিয়া গুগল হোয়াটসঅ্যাপের কাস্টমার কেয়ারের নম্বর সার্চ করেন। একটি নম্বরেরও খোঁজ মেলে। সেখানে ফোনও করে ফেলেন।
বাংলায় এবার নয়া ‘জামতাড়া’?
অভিযোগ ওই নম্বর থেকে জানানো হয় ১০ টাকা পাঠালে তবেই পের বিনোদ কোডিয়ার ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ চালু হবে। কিন্তু, ১০ টাকা দিতে গিয়েই বিনোদ কেডিয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে চুয়াল্লিশ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রসঙ্গে ওই ব্যবসায়ী জানান, তাঁর মেয়ে কাস্টমার কেয়ারে ফোন করতেই তাঁকে এনইডেস্ক নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। সেখান থেকে দশ টাকা দিতে বলা হয়। সেটা করতে গিয়েই অ্যাকাউন্ট থেকে চুয়াল্লিশ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়। তখনই কেডিয়া পরিবার বুঝতে পারেন তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এরপরই হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগ, এনিডেস্ক অ্যাপের মাধ্যমেই মোবাইলের ডেটা চলে যায় প্রতারকদের হাতে। পাসওয়ার্ড দিয়ে পেমেন্ট করার আগেই প্রতারকরা দশ টাকার বদলে চুয়াল্লিশ হাজার টাকা বসিয়ে নেয়। আর পেমেন্ট বটন প্রেস করতেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় টাকা।
কী এই এনিডেস্ক অ্য়াপ?
সাম্প্রতিককালে মোবাইলের মাধ্য়মে মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল জামতাড়া গ্যাং (Jamtara Gang)। ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি সেজে গ্রাহকদের মোবাইলে আসা ওটিপি জেনে টাকা হাতানোর কাজ চলত। এবার প্রযুক্তির অগ্রগতির হাত ধরে এই কাজে কী প্রতারকরা রিমোট অ্যাপকেও ব্যবহার করতে শুরু করেছে? হাওড়ার ঘটনা দেখে এই প্রশ্নই ক্রমশ জরালো হচ্ছে। এনিডেস্ক অ্য়াপ মোবাইল, কম্পিউটার সব জায়গাতেই ইন্সস্টল করা যায়। এই অ্য়াপে থাকা কোড অন্য কম্পিউটার বা মোবাইলে দিয়ে দিলে সেই মোবাইল বা কম্পিউটারের কার্যকলাপ দূর থেকেই দেখা যায়। প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণও করা যায়। বর্তমানে ওয়ার্ক ফর্ম হোম মোডে বহু অফিসেই কাজ চলে এই ধরনের একাধিক অ্যাপের মধ্য দিয়ে। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে গোটা দেশেই এই অ্য়াপের হাত ধরে একাধিক আর্থিক প্রতারণার খবর সামনে আসায় বাড়ছে চিন্তা।