Hawrah Money Recover: ১৩৪ কোটি টাকার লেনদেন! এবার শৈলেশ পান্ডের স্ট্র্যান্ড রোডের বাড়িতে অভিযান গোয়েন্দাদের

Hawrah Money Recover: স্ট্র্যান্ড  রোডের একটি বহুতল আবাসনের ১০ তলায় রয়েছে শৈলেশের ফ্ল্যাট। সেখানেই অভিযান চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

Hawrah Money Recover: ১৩৪ কোটি টাকার লেনদেন! এবার শৈলেশ পান্ডের স্ট্র্যান্ড রোডের বাড়িতে অভিযান গোয়েন্দাদের
হাওড়ায় কোটি টাকা, গয়না উদ্ধার (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2022 | 5:32 PM

কলকাতা: শিবপুরের ব্য়বসায়ী শৈলেশ পান্ডে স্ট্র্যান্ড রোডের বাড়িতে এবার অভিযান চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। বিকালে তদন্তকারীদের একটি দল শৈলেশের ওই বাড়িতে ঢোকে। সূত্রের খবর, শৈলেশের আরও ১৭টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সব ক’টাই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ওই ১৭টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৬টি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লেনদেন হত। এই ৬টি অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৫৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৩৪ কোটি টাকার লেনদেনের হিসাব মিলেছে।

স্ট্র্যান্ড  রোডের একটি বহুতল আবাসনের ১০ তলায় রয়েছে শৈলেশের ফ্ল্যাট। সেখানেই অভিযান চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, শৈলেশ পান্ডে পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। অন্তত শিবপুরের অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের আবাসনের বাকি বাসিন্দা, যাঁরা শৈলেশের প্রতিবেশী, তাঁরাও তেমনটাই জানতেন। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, শৈলেশ আদতে চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নন।

তদন্তে উঠে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। কয়েক বছর আগে আয়কর দফতরও হানা দিয়েছিল শৈলেশের ফ্ল্যাটে। সেবারও ৬ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তারপরও কীভাবে এত টাকার লেনদেন চালিয়েছিলেন শৈলেশ? প্রাথমিক মনে করা হচ্ছে, গার্ডেন রিচের আমির খানের মতো অনলাইন প্রতারণাই জাল বিছিয়েছিলেন শৈলেশ।

তিন দফায় শৈলেশ এবং তাঁর ভাই অরবিন্দ়ের একাধিক আবাসনে পুলিশ হানা দেয়। রবিবার সন্ধ্যায় শিবপুরের অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের আবাসনে হানা দেন কলকাতা পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখার কর্তারা। তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিশ। রাত ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলে তল্লাশি ও টাকা গোনার কাজ। উদ্ধার হয় ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রচুর গয়না। তার আগে বপুরে গঙ্গার ধারে যাঁর অন্য আবাসনের পার্কিং লটের গাড়িতে উদ্ধার হয় প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

সাম্প্রতিক কালে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখা দুটি অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন লক্ষ্য করে। তারপর ওই দুই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। কথায় অসঙ্গতি থাকায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই অভিযান।