Fraud Case: এন্টালি-শিবপুর একাধিক জায়গায় রমরমিয়ে চলছিল ‘সেই কাজ’, পুলিশ এসে হাতেনাতে পাকড়াও যুবককে

West Bengal: পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ওয়াসিম আখতার (৩৮) ওরফে শ্যাম মার্টিন ও শেখ সলমন (২৭) ওরফে পার্কার।

Fraud Case: এন্টালি-শিবপুর একাধিক জায়গায় রমরমিয়ে চলছিল 'সেই কাজ', পুলিশ এসে হাতেনাতে পাকড়াও যুবককে
বাঁ দিকে এসকে সলমন, ডানদিকে ওয়াসিম আকতার (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2022 | 6:03 PM

হাওড়া: হোটেলের পাঁচ তলায় চলছিল রমরমিয়ে ব্যবসা। দু’টো ঘর ভাড়া নিয়ে চলছিল সেটি। পরে পুলিশ এসে হাতেনাতে ধরল। হাওড়ার ঘটনা। সেখানে ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার দুই।জানা গিয়েছে, হাওড়ার (Howrah) শিবপুর থানার এলাকার একটি হোটেলে রমরমিয়ে চলছিল কল সেন্টারের নামে প্রতারনা চক্র। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় শিবপুর থানার পুলিশ ওই হোটেলে হানা দিয়ে গ্রেফতার করে দুই প্রতারককে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ওয়াসিম আখতার (৩৮) ওরফে শ্যাম মার্টিন ও শেখ সলমন (২৭) ওরফে পার্কার। ওয়াসিমের বাড়ি এন্টালির সৈয়দ আহমেদ রোডে এবং শেখ সলমনের বাড়ি নিউ মার্কেটের কলিন স্ট্রিটে। পুলিশ সেখান থেকে সাইবার জালিয়াতির জন্য ব্যবহৃত জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃত দু’জনকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃতদের তপসিয়া এলাকায় একটি কল সেন্টার ছিল।

পুলিশের তাড়া খেয়ে হাওড়ার শিবপুরে সন্ধ্যাবাজারে একটি হোটেলের ৫ তলায় ২টো ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে ডেরা বেঁধে কল সেন্টারের নামে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল দুই যুবক। এরা গ্রুপ ভাগ হয়ে নিজেরাই এই জালিয়াতি চালাচ্ছিল। হাওড়ার সন্ধ্যাবাজারে প্রায় ১ মাস ধরে চালাচ্ছিল এই অবৈধ কারবার।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিজেদের কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার এজেন্ট হিসাবে পরিচয় দিয়ে শুধু এই দেশ নয় অ্যামেরিকা, কানাডা সহ বিভিন্ন দেশের প্রবীন নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করত। তাঁদের কাছ থেকে ব্যাঙ্কের তথ্য জেনে নিয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করত। মুলত ধৃতেরা এরা বিট কয়েন এবং ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে টাকা তুলে নিত বলে জানতে পারা গিয়েছে। এরপরই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় হোটেলে তাদের সেই ঘরে অভিযান চালায় এবং সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে। পুলিশ ওই হোটেলে তল্লালি চালিয়ে চারটে ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, ৩টে মোবাইল ফোন, মোডেম সহ সাইবার জালিয়াতি কাজে ব্যবহৃত আরও বেশ কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে। পরে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই জালিয়াতির পিছনে কারা আছে বা কোথায় কোথায় এই জালিয়াতির জাল ছড়িয়ে আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।