Diamond Harbour ASI: ডায়মন্ড হারবারের এএসআই’র মৃত্যুতে বিস্ফোরক দাবি স্ত্রীর, ওদিকে গ্রেফতার ১
Diamond Harbour: ডায়মন্ড হারবার থানার অদূরে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বাটা পেট্রোল পাম্পের পাশ থেকে মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার হয় সমীর দাসের দেহ।
হাওড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ডায়মন্ড হারবারের এএসআইয়ের (ASI) মৃত্যু ঘিরে বিস্ফোরক দাবি নিহতের স্ত্রীর। এএসআই (ASI) সমীর দাসের স্ত্রী শুক্লা দাসের সন্দেহ এটা কোনও স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে একটা পেট্রোল পাম্পের সিসিক্যামেরা খারাপ হতে পারে? এটাও পূর্ব পরিকল্পিত বলেই মত তাঁর। এদিন শুক্লা দাস জানান, ফোনে চার্জ না থাকার জন্য ফোনের সুইচ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। এরপরই ডায়মন্ড হারবার থানা থেকে শিবপুর থানায় যোগাযোগ করা হয়। সেখান থেকেই খবর আসে বাড়িতে। শুক্লা দাস বলেন, “খবর এল ডায়মন্ড হারবার থানা থেকে ৪০০ মিটার দূরে একটা পেট্রোল পাম্পের সামনে আমার স্বামীর দেহ পড়ে আছে। আমি বলতে পারছি না কীভাবে এই ঘটনা ঘটল। ঘাড়ে যেহেতু আঘাতের চিহ্ন আছে আমার তো মনে হচ্ছে এটা খুন ছাড়া অন্য কিছু না। বলছে পেট্রোল পাম্পে নাকি সিসিটিভি খারাপ। এটা কখনও হতে পারে একটা পেট্রোল পাম্পের সিসিটিভি খারাপ? আগে থেকে নিশ্চয়ই কোনও পরিকল্পনা ছিল এসবের। তাই সিসিটিভিগুলো খারাপ করে রেখেছে। আমার দেওর, ভাশুর, আমার ছেলে গেছে। ওরাই সিদ্ধান্ত নেবে খুনের অভিযোগ দায়ের হবে কি হবে না।”
যদিও নিহতের দাদা এই ঘটনায় দুর্ঘটনার অভিযোগ দায়ের করেছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। ডায়মন্ড হারবার থানার অদূরে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বাটা পেট্রোল পাম্পের পাশ থেকে মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার হয় সমীর দাসের দেহ। থানারই ব্যারাকে থাকতেন এই এএসআই। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ পেট্রোল পাম্পের কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তাতেই জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ৯টা ৫০ নাগাদ সরিষায় যাত্রা উৎসবে ডিউটি শেষ করে ধর্মতলা থেকে ডায়মন্ড হারবার গামী একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠেছিলেন সমীরবাবু। ইতিমধ্যেই বাস স্ট্যান্ডে বসে মদ্যপানের একটি তত্ত্ব উঠে আসছে। ওই বাস স্ট্যান্ডে থাকা একটি বাস সোমবার সকালে বেরোতে গেলে সেই বাসের পেছনের চাকায় সমীর দাস পিষ্ট হন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘাতক বাসটিকে আটক করার পাশাপাশি চালক গ্রেফতারও করে। অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত করছে পুলিশ।
হাওড়া শিবপুরের গণেশ চ্যাটার্জি লেনে বাড়ি সমীর দাসের। এদিন বাড়িতে দাঁড়িয়েই শুক্লাদেবী বলেন, “চার পাঁচ দিন আগেই ঘুরে গেল মানুষটা। বলল ষষ্ঠীতে আসবে। আমার মেয়ে মুর্শিদাবাদ থাকে। অনেকটা দূর। খুব একটা তো আসতে পারে না। উনি বলছিলেন, স্যরকে বলবেন একটা দিন ছুটি দিতে। বাড়িতে সকলে মিলে হইহই করব। কী হল, কোথা থেকে হল কিছুই বুঝলাম না।” আর ২ বছর মতো চাকরি ছিল সমীর দাসের। এরইমধ্যে এমন ঘটনায় তাজ্জব বাড়ির লোকজনও।